শরিফ
রাত পোহালেই শবেবরাত। আমাদের দেশে বহুকাল ধরেই শবেবরাতে রুটি-মাংস-হালুয়া খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। তাই এ উপলক্ষে মাংস ও চিনির বাড়তি চাহিদা থাকে। আর শবেবরাতের আগেই সরকার বৃহস্পতিবার চিনির দাম বাড়িয়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। এচাড়া বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় গরুর সরবরাহ কম থাকার অুযুহাতে দোকানিরা বলছেন, দাম আরও বাড়তে পারে। এ সময়ে ব্রয়লার মুরগির চাহিদাও বাড়ে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি এলাকাভেদে ২১০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
অন্যদিকে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হলেও পণ্যটির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। বসন্ত শুরু হয়ে যাওয়ায় সামান্য কমতে দেখা গেছে শীতকালীন সবজির দাম। তবে তা বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। প্রতি কেজি সবজি মানভেদে ৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও আগামী ১ মার্চ থেকে তা কার্যকর হবে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হলেও নিত্যপণ্যের দামে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি আপাতত কমছে না।
আজ (শুক্রবার) যশোর শহরের বড়বাজার, বেজপাড়া তালতলা মোড় বাজার, রেলস্টেশন বাজার, ঘোপ বৌবাজার ও উপশহর বাবলাতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিম-মুলা-শালগম-ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০-২০ টাকা কম। এর মধ্যে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আলুর কেজি ৩০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, টমেটো গাজর ও শসার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ও করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের দাম কিছুটা কমে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। খিরা ৫০ টাকা এবং শসার কেজি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিমের বিচির কেজি ১২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, খোসাসহ মটরশুঁটি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শের কেজি ১২০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শাকের আঁটি আকারভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই সঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন দুই-ই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।
নিত্যপণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মশুর ডালের কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা ডালের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ২০০ টাকা বা তারও বেশি। আদার কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার ১৭২ টাকা, ১ মার্চ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হবে।
এদিকে, গরুর মাংসের দাম কেজিতে প্রায় ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। নির্বাচনের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০-৫০ টাকায় নামলেও পরে তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। গত এক সপ্তাহে দাম আরও বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭২০ টাকা কেজিতে।
শিরোনাম:
- যশোরে নারী সিএসও ও পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কর্মশালা
- সাবেক এমপি ইয়াকুবের বিরুদ্ধে মাছ লুটের মামলা
- যশোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা অসহিষ্ণু আচরণ করে ছাত্র সমাজকে কলঙ্কিত করছে’
- যশোরে মাংস ও ডিমের দাম চড়া : নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে আমিষের টান
- চার দশকে ‘হাজার কোটি টাকা’ জলে ভবদহের ৩৪১ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
- সাবেক এমপি রণজিৎ রায়, সাবেক এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- যশোরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র জন্মদিন উদযাপন