♦ অপহরণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডিবি টিমের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার ও অপহরণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। একইসাথে অপহরণের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এই রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৩), যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরালী মাঝেরপাড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে পিয়াস হাসান (২৪), নাভারণ রেল বাজার এলাকার আব্দুল মতলেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), গোগা গাজীবাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০), রাজগঞ্জ পুটখালী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২), চৌগাছা উপজেলার জগদিশপুর গ্রামের হোসেন মোহাম্মদ গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪) ও যশোরে শহরের খড়কি বামনপাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৮)।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে দুই ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন ও হাবিবুর রহমান গত ১৬ মার্চ সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। চাঁচড়া মোড়ে বাসটি আসামাত্র একদল অপহরণকারী ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীকে বাস হতে নামিয়ে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে নগদ টাকা রেখে কেশবপুর থানা এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোরের টিম ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের সনাক্ত করে। পরে ভিকটিমদের সহ অভিযান পরিচালনা করে বুধবার (২০ মার্চ) যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ভুয়া ডিবি ও অপহরণকারী চক্রের সদস্য সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। একইসাথে তাদের দখল হতে চাঁদা আদায়ের আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার আরও জানান, আসামিরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে, তারা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় জড়িত। এ কারণে এই আসামিরা ইতোপূর্বে অন্য কোন ঘটনা সংঘটিত করেছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা হয়েছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোরের এসআই মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তদন্ত করছেন।