রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততার সময় পার করছে সাতক্ষীরা দর্জিরা। ঈদে নতুন পোশাক ঈদের আনন্দ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই তো ঈদকে সামনে রেখে তৈরি পোশাক মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বাড়তে দেখা যাচ্ছে দর্জিদের দুয়ারে।
এবারের ঈদুল ফিতরকে ঘিরেও ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো ডিজাইনের পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিপাড়ায়। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে কাপড় হাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগরদের। কেউ কেউ সিট কাপড় কাটছেন আবার কেউ কেউ গ্রাহকদের মাপ নিচ্ছেন আবার কেউ কেউ জামা কাপড় সেলাই করে তৈরি করছেন।
আজ (সোমবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেটসহ পাশে দর্জিপাড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। টেইলার্সের কাটিং মাস্টাররা বলছেন, কাজের অর্ডার এখন পর্যন্ত ভালো। আশা করছি দিন দিন অর্ডার আরও বাড়তে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করতে ২০ রমজানের আগেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করবেন তারা।
নিউ মার্কেটের নবরূপা লেডিস টেইলার্সের কারিগর মিলন বলেন, গতবারের মতো এবারও আমাদের অর্ডার বেশি। ঈদের এই সময়টা আমদের অর্ডার বেশি আসে। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে খাওয়া ঘুমের সময় পাচ্ছিনা। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কাজ চলে আর জামা কাপড় ডেলিভারি ও করি।
নিউ মার্কেটের নবরূপা লেডিস টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ইদ্রিস বলেন, কাজের অর্ডার ভালোই আসছে। সারা বছরের কাজের চেয়ে ঈদের সময়ে কাজের চাপ বেশি থাকে। এই সময় টায় আমারা একটু বাড়তি ইনকাম করি। এই সময়টা আমাদের একটু চাপের মধ্যে দিয়ে যায়।
তবে অনেক টেইলার্সই ক্রেতা খরায় ভুগছে। তাদের কাজের ব্যস্ততা বছরের অন্য দিনের মতোই। তাদের অভিযোগ, আগের মত এই পেশায় মানুষ থাকতে চাই না। কারণ সব কিছুর দাম বাড়লে ও আমাদের কাজের মজুরি বাড়েনি। আর মানুষ রেডিমেড জামা কাপড় এখন কিনে বেশি পরে।
নিউ মার্কেটের নবরূপা লেডিস টেইলার্সের কারিগর হাসিনা বেগম বলেন, আজকাল সবাই রেডিমেড জামা কাপড় কিনে পরিধান করে। খুব হাতে গোনা কম মানুষ তৈরি করা জামা কাপড় পরে। তবে ঈদে মোটামুটি ভালোই কাজ হচ্ছে আমাদের।
নবরূপা লেডিস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কাস্টমার নতুন নতুন ডিজাইন বলে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি। বিভিন্ন ডিজাইনে জামা তৈরি করি আমরা। আমাদের টেইলার্সে প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সালোয়ার কামিজ ৩০০ টাকা, ব্লাউজ ১৫০ টাকা, ব্লাউজ (সুতি) ১২০ টাকা, পেটিকোট ২০০ টাকা, ম্যাক্সি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, গাউন ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, বোরকা ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।