কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
সাফজয়ী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানার মৃত্যুর আগে রেখে যাওয়া টাকার জন্য তার মাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেলেন স্বামী ইয়াম রহমান। তার স্বামীর বাড়ি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পাম হাউস গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের লক্ষীনাথপুর গ্রামে রাজিয়ার বাবার বাড়িতে।
রাজিয়ার মা আবিরণ বিবি জানান, তার মেয়ের জামাই ইয়াম রহমান গত (৮ এপ্রিল) তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকে রাজিয়ার ডিপোজিট করা ১২ লাখ টাকার চেক তার হাতে তুলে দেয়ায় জন্য চাপ দিতে থাকে। গত (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চেকটি তার জামাই ইয়ামের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন তিনি। সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে মারতে যায় ইয়াম। বর্তমানে ওই চেকের পাতা মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়লের কাছে রয়েছে।
স্থানীয় সুফিয়া বেগম ও আরিফা পারভিন জানান, রাজিয়ার স্বামী বাঁশের লাঠি দিয়ে তার শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে মারতে যায়। এ সময় তারা তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে ইয়ামের হাত থেকে রাজিয়ার মা ও বোনকে রক্ষা করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াম রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার ছেলের জন্ম নিবন্ধন সনদ ও রাজিয়ার রেখে যাওয়া ডিপোজিটের ১২ লাখ টাকার চেক বইয়ের পাতা শাশুড়ি দিতে অস্বীকার করায় তার মাথা গরম হয়ে গিয়ে ছিল। এজন্য তার শাশুড়ি ও বড় শ্যালিকার সাথে বাজে আচরণ করে ফেলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল জানান, রাজিয়ার ডিপোজিটের চেকের একটি পাতা তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ফুটবলার রাজিয়ার মৃত্যুর দুই দিন পরে পরিবারের সদস্যরা ঝামেলার কারণে তার কাছে চেকটি রেখে দেয়। ব্যাংক একাউন্টে রাজিয়া তার মাকে নমিনি করে গেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এছাড়া রাজিয়ার মা ও বোনকে মারতে যাওয়ার বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি।
প্রসঙ্গত, সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর অসুস্থ হয়ে সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা (২১) মারা যান।