বেনাপোল সংবাদদাতা
ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে তিন কিশোর উদ্ধার ঘটনায় জড়িত বাবু ও লাভলু নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১২ টার সময় তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার পাচারের শিকার ওই তিন কিশোরকে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে মৌ আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবু বেনাপোল এমএম পরিবহনের সুপারভাইজার এবং লাভলু বেনাপোল বড় আচঁড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের কচুয়া থানার পুনসাই গ্রামের অভাবি পরিবারের তিন কিশোরকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে ভারতে পাচারের জন্য বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে আসে এমএম যাত্রী পরিবহনের সুপারভাইজার বাবু। এবং বেনাপোলের আবাসিক হোটেল মৌতে তিন কিশোরকে রাখা হয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাঁদপুরের আয়ুব খাঁর ছেলে সবুজ, সালাউদ্দীনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক অন্তর ও আইয়ুব আলীর ছেলে জহিরকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় সুপার ভাইজার বাবু। শনিবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বাবুকে আটক করে। এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পাচারের সাথে জড়িত হোটেল মালিক লাভলুকে ও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্টথানার উপপরিদর্শক শংকর কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে নারী শিশু পাচার আইনে মামলা করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থার কর্মী নুরজাহান রিনা জানান, পাচারকারীরা সব সময় অসহায় পরিবারকে টার্গেট করে। এসব পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলে পাচার কার্যক্রম কম হবে।
সীমান্তবাসী আশরাফ আলী জানান, পাচারকারীরা আটক হচ্ছে আবার আইনের ফাঁক দিকে বেরিয়ে আসছে। পাচার বন্ধ করতে হলে আইন আরো কড়া করতে হবে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, মানব পাচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।