বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল। জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আমরা সেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকেই মুক্ত করেছিলাম সেদিন।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শহিদুল ইসলাম মিলন আরও বলেন, কারামুক্তির সেই আন্দোলনের পথ ধরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় জনগণ পরপর চারবার রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সেদিন জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার ফলেই আজ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি সবসময় ষড়যন্ত্র করে। আর এই ষড়যন্ত্র আরও বৃদ্ধি পায় যখন কোনো নির্বাচন আসে। তখন তারা বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। সামনেও করবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, মীর জহুরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সামির ইসলাম পিয়াস, সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাজেরা পারভীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হারুন আর রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এমএ বাশার, সদস্য আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ শাহিদ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর তুহিন প্রমুখ। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম নিয়ামত উল্লাহ আলোচনা সভা সঞ্চলনা করেন।