বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে একজন আইনজীবী তার মক্কেলের প্রতারণার শিকার হয়ে মক্কেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মৃন্ময় কুন্ডু তপু নামে ওই আইনজীবী তার এক সময়ের মক্কেল ফারিয়া আক্তার বনানীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। বনানী পটুয়াখালী জেলার বাউফলের গাজীবাড়ী গ্রামের মোকলেছ গাজীর মেয়ে। বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাওয়ের কাচপুরে। ওই মামলায় তার মা মার্গারেট মেরীকেও আসামি করা হয়েছে।
আইনজীবী মামলায় উল্লেখ করেছেন, বনানী, তার মা এবং তিনি কাচপুরে পাশাপাশি বসবাস করেন। একপর্যায় তারা জানতে পারেন মৃন্ময় একজন আইনজীবী। তিনি ঢাকা জজকোর্টে প্রাকটিস করেন। বনানী এবং তার মা তাকে জানান বনানী স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে যৌতুক মামলা করেছেন, যা চলমান রয়েছে। সেই মামলা তাকে পরিচালনার অনুরোধ করেন তারা।
একপর্যায় মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। বনানী তার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। সেই থেকে তাদের সাথে মৃন্ময়ের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বনানী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেন। ওইসব অনুষ্ঠানে তারা একসাথে ছবিও তুলে রাখেন। কিছু দিন পর স্বামীর সাথে তার আবার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বনানী মৃন্ময়ের সাথে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মৃন্ময় মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মৃন্ময় চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বনানী ও তার মা মৃন্ময়ের বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্র শুরু করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়ে ও তার মা আগেকার তোলা ছবি নিয়ে তাকে ব্লাকমেইলিং করতে থাকেন। তারা ওই সমস্ত ছবি মৃন্ময়ের শশুর বাড়ি পাঠিয়ে তার সংসার ভাঙার অপচেষ্টা করেন। এসবের প্রতিবাদ করলে মৃন্ময়ের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না পেয়ে জাল কাবিননামা তৈরি করে তার স্ত্রী বলে দাবি করেন বনানী। এদিকে মৃন্ময় ওই কাবিননামা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজী অফিসে গিয়ে জানতে পারেন সেটি জাল। অভিযুক্ত বনানী এবিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এতে তার সম্মানহানি হয়েছে বলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু তার মামলায় উল্লেখ করেছেন।