পাঁজিয়া সংবাদদাতা
বর্তমান সময়ে মাদকের চেয়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবক-যুবতী এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে যশোরের কেশবপুর উপজেলায়।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে অহরহ। ফোনে সারাক্ষণ ফ্রি ফায়ার, পাবজি, টিকটকসহ বিভিন্ন গেমে ছোট্ট বাচ্চারাও আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন না দিলে তারা কান্নাকাটি, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। এমনকি মোবাইল ফোন নিতে না দিলে বা কেড়ে নিলে বা মোবাইল চালাতে মানা করতে বললে বকা দিলে অভিমান করে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন এমনই আত্মহত্যা ঘটনা ঘটে উপজেলার সানতলা গ্রামে। কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াছমিন মোবাইল ব্যবহারের কারণে নানার বকাবকিতে আত্মহত্যা করেন। এছাড়াও বর্তমানে ক্যাসিনোতে আসক্ত হয়ে পড়েছে যুব ও তরুণ সমাজ।
কেশবপুরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে বলতে এক মুহূর্তে তারা নিজেরায় শিকার করে এ প্রতিনিধি কে জানান, তারা সত্যিই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে, কোনো ভাবেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। সারাক্ষণ টিকটক, ইউটিউব ও ফ্রি ফায়ার এ পড়ে থাকে। টিকটকের ভিতর ডুকলে বের হতে ইচ্ছে করে না। মোবাইলে চার্জ শেষ না হওয়া পযর্ন্ত টিকটক ভিডিও দেখতে থাকে। এতে করে যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে শরীরও নষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষকরা বলছেন, সন্তানদের মোবাইল নেশা থেকে সরানো দরকার। এরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, এখন থেকে সারাক্ষণ মোবাইল টিপলে তাদের চোখের সমস্যা হবে তাতে এদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।