স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোরে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু জ¦র। তবুও টনক নড়েনি স্বাস্থ্য বিভাগের। দায়সারা সচেতনা বৃদ্ধির উদ্যোগে সীমবদ্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত মাসে জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সপ্তাহব্যাপি ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর কথা থাকলেও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি ডেঙ্গু কর্ণার।
সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর এই জেলায় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮২২ জন। তাদের ভিতরে মারা যান ১৯ জন রোগী ও ৮৭ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়। আর আগে ২০২২ সালে এই জ¦রে আক্রান্ত রোগী ছিলো ৯৩০ জন ও ২০২১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ১৪৫ জন। তবে গত দুই বছরে কত জন রোগী এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি পরিসংখ্যান বিভাগ।
চলতি বছরে ডেঙ্গু জ¦রের মৌসুম শুরুতেই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ জন। আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে সমগ্র জেলা থেকে রোগী এসে ভর্তি হয়। এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা গেছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন অভয়নগর উপজেলা ও এক জন কেশবপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। অর্থাৎ গেল বছরে এই জেলায় ডেঙ্গু জ¦রে রের্কড সংখ্যক রোগী মারা যায়। সেক্ষেত্রে বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে যেমন পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন তেমন কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। এক্ষেত্রে সাধারণ জন সাধারণের মধ্যে অনেকটা ভীতি কাজ করছে।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পায়নি। যশোর পৌরসভা থেকে এডিস মশা নিধনে কাজ খুব দ্রুত শুরু করবে। আমরা গতবারের চেয়ে ভালো ওষুধ স্প্রে করার চিন্তা ভাবনা করছি। এখনি সেটা করতে পারছি না। বর্ষার পানিতে ওষুধ ধুয়ে গেলে তো কাজ হবে না।
সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ডেঙ্গু সংক্রান্ত আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু কর্ণার করার নির্দেশনা দিয়েছি। ডেঙ্গু মোকাবেলায় সামাজিক সচেতনতা দরকার। আপনারাও খেলালেখির মাধ্যমে সচেতন করেন।