শ্রীপুর সংবাদদাতা:
মাগুরার শ্রীপুরের দারিয়াপুর ইউনিয়নের চরচৌগাছি গ্রামে তিন সন্তানের এক জননীর সাথে নাজমুল শেখ নামে এক যুবকের পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক মাতব্বররা মিলে সালিশি বৈঠকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন একই গ্রামের রাজমিস্ত্রি হানিফ শেখের স্ত্রী মিতা বেগম (২৫)।
ভুক্তভোগী মিতা বেগম জানান, প্রতিবেশি নাজমুল তাকে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি নাজমুলকে জানালে সে কর্ণপাত না করায় বাধ্য বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার শরিফুল ইসলাম সাবুকে জানাই। তিনি বিষয়টি চেপে যাওয়া জন্য বলেন এবং মীমাংসা করে দেবেন বলে জানান। দেখতে দেখতে চার মাস হয়ে গেলে মিতার স্বামী বিষয়টি টের পেয়ে আমাকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার নাজমুলের বাড়িতে গেলে আমাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমার শ্বশুর সালিশের কথা বলে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এবং মঙ্গলবার বিকেলে সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে নাজমুল সম্পর্কের বিষয় অস্বীকার করে। এবং নাজমুলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানার ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, আমি কোন টাকা চাইনা আমি আমার সন্তানের স্বীকৃতি স্বরূপ নাজমুলের সাথে সংসার করতে চাই। নাজমুল ও তার পরিবারের ভয়ে আমরা আইনি সহয়তা নিতে পারছিনা। ঘটনার পর থেকে নাজমুল আত্মগোপনে রয়েছে।
এ বিষয়ে তার স্বামী হানিফ শেখ বলেন, নাজমুল আমার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছে এ বিষয়টা আমি কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি। গ্রামের মাতব্বরদের চাপে আমার স্ত্রীকে গ্রহণ করা লাগছে। আমার স্ত্রীর গর্ভে নাজমুলের সন্তানের দায় আমি নিতে চাই না। আমি নাজমুলের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম সাবু জরিমানার বিষয়টা স্বীকার করে বলেন, এই বিষয়টা আমরা গ্রামবাসি মিলে সমাধান করে দিয়েছি। এটা নিয়ে সাংবাদিকদের মাথা ব্যথা কেন?
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ তাসমীম আলম জানান এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।