বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেছেন ২২ লাখের বেশি পাসপোর্টধারী। এদের মধ্যে ভারতে গেছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪ জন এবং ভারত থেকে এসেছেন ১০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৪ জন। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) হিসাব অনুযায়ী—যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৫ জন। এদিকে ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। আর ভারত সরকারের আয় ১০০ কোটির বেশি। তবে সরকারের আয় বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবা বাড়াতে বন্দরে যাত্রীছাউনির জন্য জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলছে আর ভারতে অংশে ইমিগ্রেশনকেও সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন পাসপোর্টধারী। এর আগের অর্থবছর (২০২২-২৩) তুলনায় যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৫ জন।
বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর ও পর্যটনকেন্দ্র কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার বেশির ভাগ পাসপোর্টধারীরা চিকিৎসা, ব্যবসা, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ আর দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করে থাকেন। পদ্মা সেতু ব্যবহারে এ যাত্রা আরও সহজ হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় ভারত অংশে। বিভিন্ন বৈঠকে যাত্রীসেবা বাড়াতে অনুরোধ জানালেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলেনি। রতন সরকার নামে একজন পাসপোর্টধারী জানান, ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা বাড়েনি। রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছয় ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। পলাশ নামে আরেক পাসপোর্টধারী জানান, পদ্মা সেতুর সুবিধায় ঢাকা থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বেনাপোল আসা যায়। তবে বন্দর ভোর সাড়ে ৬টার পর খোলায় আগের দুর্ভোগ থেকেই গেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৫ জন। যাত্রী সুবিধা বাড়াতে বন্দরে টার্মিনালের জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলমান। ভারত অংশেও তাদের সেবা বাড়াতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের দালাল থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।’