বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
যশোর জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যা যা করনীয় আমরা করবো। যেকোন মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর চালু রাখা হবে। প্রয়োজনে পোর্টের শ্রমজীবীদের কারফিউ পাশ করে দিয়ে তাদের স্বাভাবিকভাবে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, যশোরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। যশোরবাসী শান্তি চায়, এজন্য সহিংসতা হয়নি। সরকার কারফিউ জারি করেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানান তিনি ।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, রাষ্ট্রকে কেউ হুমকি দিলে কোন ছাড় দিবো না। সরকারের বিরদ্ধে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের সম্পদ ক্ষতি করতে চায়, তারা দেশের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলতি আইনেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী প্রথম বুলেট ছুড়েছে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পুলিশ বাহিনী পথ হারাবে না। পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে দেশের কল্যাণে কাজ করবো।’
এদিকে, মতবিনিময় সভায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যশোরে নাশকতা হয়নি। পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে চলমান কারফিউ প্রত্যাহার অথবা আরও শিথিল করার দাবি জানান ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।
বক্তব্য রাখেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, যশোর জিলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, ৪৯বিজিবি অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, জেলা আনসার কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সাহা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনীর উপ-প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দৌলা, সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন-জেইউজে সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোয়াইব হোসাইন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর হাফিজ উদ্দিন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, পাবলিক প্রসিকিউটর এম ইদ্রিস আলী, যশোর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, এমইউসি ফুডের নির্বাহী পরিচালক শ্যামল দাস, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সনি, সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী প্রমুখ।