বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপি-জামায়াত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে প্রবেশ করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিল। তাদের সেই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র শক্তহাতে মোকাবেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের পালবাড়ি মোড়, রবীন্দ্রনাথ সড়ক (আরএন রোড) ও সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুরে মতবিনিময় সভায় এই সব মন্তব্য করেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সভায় বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ২০১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে। এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের বিচার এ মাটিতে করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার বলেন, কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির যে হত্যাযজ্ঞ ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না। বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে, বিএনপি ও জামায়াত এ উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি। তাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতুভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ছাত্রদের বলির পাঠা বানাতে চেয়েছিল। দেশের মানুষের মধ্যে তাদের এ হিংস্রতা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ইতিপূর্বেও দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। তারা মানুষের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে ভালোবাসে। তারা পুরনো অভ্যাসে ফিরে গেছে। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে করবে শেখ হাসিনার সরকার ইনশাআল্লাহ।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, গোলাম মোস্তফা ও সামির ইসলাম পিয়াস, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোর্ত্তজা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ শাহিদ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মিঠু, পৌর কাউন্সিলার আলমগীর কবির সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবীর পিয়াস, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. লিটন, জেলা পরিষদের সদস্য রেহেনা খাতুন, যুবলীগ নেতা কেরামত আলী, নেতা কাজী শাহিন, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।