বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, এখানো আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের অবৈধ অস্ত্রের পাহাড় রয়েছে। সেই অবৈধ অস্ত্র নিয়ে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবেন না। অস্ত্রবাজরা ভালো হয়ে যান, জনগণ যদি আপনাদের কুকীর্তি ক্ষমা করে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আবার যদি সেই অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করতে আসেন, জনগণের সুরক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীরা আপনাদে প্রতিহত করবে।
বুধবার জেলা বিএনপি আয়োজিত সদ্য ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলি চালিয়ে হত্যাকারী সদ্য পদত্যাগকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচাররের দাবিতে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। চৌরাস্তা মোড়ে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। সকাল ১০ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা যোহর এবং আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম -আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাড. মো. ইসহক, মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম কচি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্তজা ছোট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যশোর ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ইবাদত খান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব নির্মল কুমার বিট, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু জাফর, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, বিএনপি নেতা সুলতান আহমদ, মহিলা দল নেত্রী শামসুন্নাহার পান্না, সেলিনা পারভীন শেলী, আব্দুর রাজ্জাক, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ। এদিকে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে চাঁচড়া বাজার মোড়ে এবং আরবপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে পুলেরহাট বাজারে দিনব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নে দিনব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।