বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপনকে নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার তার ভাইয়েরে বিরুদ্ধে এক হিন্দু পরিবারের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী বিষয়টি দলের স্থানীয় নেতাদের জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে তারা উপস্থিত হন । এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদাবাজরা সটকে পড়েন। রোববার দুপুরে বাঘারপাড়ার সেকেন্দারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত কুমার জানান, দুপুর দুইটার দিকে একই ইউনিয়নে গাইদঘাট গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শরাফতের নেতৃত্বে সেকেন্দারপুর গ্রামের নিজাম শেখের ছেলে মঞ্জু ও জসিম তার বাড়িতে এসে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পল্লী চিকিৎসক হাসেম আলীকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসেম আলী বিএনপি নেতা আজিজুরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শরাফত, মঞ্জু ও জসিম কোনো কিছু না বলেই চলে যান। শরাফত বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপনের আপন চাচাতো ভাই।
সুশান্ত কুমার অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি খাজুরা ভাটার আমতলা বাজারে শ্যালক মদনকে নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময় সেকেন্দারপুর গ্রামের জসিম ও মঞ্জুসহ কয়েকজন লোক তার শ্যালকের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে মদনকে ডেকে মির্জাপুর আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে চাঁদা দাবি করেন। এই মর্মে জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে তার শ্যালকের স্বাক্ষরও করিয়ে নেন অভিযুক্ত জসিম ও মঞ্জু। রোববার সেই টাকা নিতেই সুশান্তের বাড়িতে আসেন তারা।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পল্লী চিকিৎসক হাসেম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ^স্ত করেন তিনি।
জানতে চাইলে বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান তপন জানান, এই ধরনের বিষয় আমার জানা নেই। আমার ভাই অসুস্থ মানুষ। আমি আরো নিজে হিন্দুদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বিষয়টি মিথ্যা বলে তিনি জানান।