যবিপ্রবি সংবাদদাতা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, উপাচার্যের সাবেক একান্ত সচিবসহ অন্য সকল দুর্নীতিবাজদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বিক্ষোভে এইচ এম মারুফ বলেন, স্বৈরাচারী ভিসির দুর্নীতিতে সাহায্যকারী, উপাচার্যের ডান হাত নামে পরিচিত ইকবাল কবির জাহিদকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু উনি মনে হয় অবাঞ্ছিত ঘোষণার অর্থ জানেন না। উনি (ইকবাল কবির জাহিদ) আবার ক্যাম্পাসে এসে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং এখানে কিছু শিক্ষক তাকে সাহায্য করছে। আমরা সেই সকল শিক্ষকদেরও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুশিয়ারি দিচ্ছি।
এ সময় অবাঞ্ছিত শিক্ষক ড. ইকবাল কবির জাহিদকে পুনরায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বলেন, আজকের পর থেকে ড. ইকবাল কবির জাহিদ যদি ক্যাম্পাসে আবারো তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে চায় তাহলে তার সাথে যদি কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার কোন দায়ভার নিবেনা। এ সময় বক্তারা বলেন, ভিসির সাবেক একান্ত সচিব আব্দুর রশিদ অর্নব, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব, মিজান, হেলালুল ইসলামসহ যে সকল দুর্নীতিবাজদের নামে দুদকের মামলা চলমান তাদেরকে আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।
এবিষয়ে ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রমাণ নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নির্দিষ্টভাবে দুইজনকেই কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে? কোন একটি নির্দিষ্ট কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারপরেও তাদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং দেশের প্রচলিত আইন আছে তার মাধ্যমে বিচার হবে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ ছাত্র আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন পদ থেকে পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক পদে রয়েছেন।