বাংলার ভোর প্রতিবেদক
পটপরিবর্তনের পর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আবারো বিতর্কে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান তপন। চাঁদাবাজি ও মারপিট ঘটনার পর এবার অভিযোগ উঠেছে তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক হিন্দু পরিবারের বাগানের গাছ কেটে নেয়ার।
জানা গেছে, যশোরের বাঘারপাড়ায় অবৈধভাবে ব্যক্তি সম্পত্তি থেকে গাছ কেটে ফেলে বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়ন যুবদলের কয়েক সদস্য। যারা স্থানীয়ভাবে ওই ইউনিয়নের বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান তপনের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়কার ব্যানার ফেস্টুনের এসব যুবদল নেতার ছবির সাথে দেখা যায় মনিরুজ্জামান তপনের ছবি।
বুধবার সকালে উপজেলার খাজুরা পল্লী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের পাশে একটি হিন্দু পরিবারের মেহগনি বাগান থেকে ছয়টি গাছ কাটা হয়। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় যুবদলের তিন সদস্যের নেতৃত্বে এ গাছ কাটা হয়।
স্থানীয়রা জানান, যশোর-মাগুরা সড়কের পাশে খাজুরা পল্লী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের পূর্ব পাশে অবস্থিত রিন্টু রায়ের মেহগনি বাগান থেকে ছয়টি মেহগনি গাছ কাটা হয়েছে। উপজেলার তেলিধান্যপুড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সাগর হোসেন, মনিরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সোহাগ ও দ্বীন ইসলামের ছেলে রয়েল হোসেনের নেতৃত্বে এ গাছ কাটা হয়।
অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় যুবদলের সদস্য এবং বন্দবিলা ইউনিয়ন বিএনপির বড় নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। বুধবার সকালে তড়িঘড়ি করে শ্রমিক দিয়ে ছয়টি গাছ কেটে ফেলে। এরপর গাছের লগ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে গাছ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে রিন্টু রায়ের ভাই অসিম রায় জানান, আমরা ঘটনা জানার পর বাগানে গিয়ে গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে দুর্বৃত্তরা গাছগুলো নতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর মনিরুজ্জামান তপনের চাচাতো ভাই শরাফত সেকেন্দারপুর গ্রামের মদনকে স্থানীয় মির্জাপুর আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে ধরে নিয়ে যেয়ে মারপিট করে জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষ করে নেয়াসহ দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর আগে তপনের ক্যাডার কবির, মেহের ও নন্টু মারপিট করে জখম করে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ বিশ^াসকে। যে ঘটনায় ওই তিনজনকে বহিস্কার করে জেলা যুবদল। যেসব ঘটনায় এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় সংবাদ।
এ বিষয়ে জানার জন্য, মনিরুজ্জামান তপনের মোবাইল (০১৭১১৩৩৫৯৪৪) নাম্বারে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।