বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক রোডে আনোয়ারা কুঞ্জ নামে একটি দ্বিতল ভবন ছিল। সেই ভবনের মালিক ছিলেন মরহুম মোকলেসুর রহমান। তার মৃত্যুর পর বাড়িটি শরিকদের ফাঁকি দিয়ে জোরপূর্বক দখল করেছেন তার ছোট ছেলে মাহমুদুর রহমান সোহেল। তিনি শরিকদের না জানিয়ে দ্বিতল বাড়িটি ভেঙে নতুন ৪ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং স্থাপনার কাজ করছেন। যে কারণে জন্মসূত্রে ওই বাড়ির ওয়ারেশ মরহুম মোখলেছুর রহমানের বাকি ২ পুত্র ও ৫ কন্যা পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জমি রেজিস্ট্রি বন্টন ছাড়াই ছোট ছেলে বাড়ির স্থাপনা শুরু করায় বাকি ৬ ওয়ারেশ বাদী হয়ে যশোর যুগ্ম জজ ১ নং আদালতে বন্টন মামলা করেছে। যার মামলা নং ১২২/২৪।
গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত আগামী মঙ্গলবার আবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সে পর্যন্ত স্থাপনার কাজ বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বন্টন মামলার বাদী মাসুদুর রহমান ঘটনা জানতে পেরে জায়গা পরিদর্শন করে স্থাপনা কাজের ছবি উঠাতে গেলে তার সাথে মাহমুদুর রহমান অশোভন ও মারমুখি আচরণ করেন।
মামলার বিবাদী মাহমুদুর রহমান যশোর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মচারি। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা ও বাদীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা নিয়ে এলাকা জুড়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। এলাকার প্রতিবেশী লোকজনের সাথেও তার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ বলে জানা গেছে। মরহুম মোখলেছুর রহমানের ওয়ারেশ বন্টন মামলার বাদীগণ এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।