বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর রঘুরামপুরে আব্দুল আলিম নামে এক ব্যক্তির জমি দখল ও মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেয়াসহ খুনজখমের হুমকি দেয়া হচ্ছে। একই গ্রামের শাহজালাল সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম পুলিশ সুপারকে দেয়া অভিযোগে বিবাদী করেছেন সুজলপুর গ্রামের শাহজালাল, হেলাল উদ্দীন হেলাল, শাহ শফিউর রহমান ও আতিকুজ্জামানকে।
অভিযোগ মতে, যশোর সদর উপজেলার ৫১ নম্বর রঘুরামপুর মৌজার এসএ ৪০, ২০৪, ২০৫, ৪৮৫ ও ৪৮৬ নম্বর দাগে ১৯ শতক জমি কেনার জন্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দাম নির্ধারণে ওই বছরের ৮ এপ্রিল এক লাখ এবং ১৬ জুন বায়না হিসেবে আরো তিন লাখ টাকা আব্দুল আলিমকে দেন শাহজালাল। তারপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হন শাহজালাল এবং জমির বায়নানামাটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেন। খুঁজে পেলে ফেরত দেবেন বলেও আব্দুল আলিমকে জানান তিনি।
এছাড়া ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর যশোর শহরের এইচএমএম রোডে আব্দুল আলিমের নিজস্ব মার্কেটের দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষ ১৫ লাখ টাকা অগ্রিম এবং ৭ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া নেন শাহজালাল। ওই সময় অগ্রিম ১৫ লাখ টাকার মধ্যে পূর্বের জামানত ৭ লাখ ও নগদ ৩ লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকাআব্দুল আলিমকে প্রদান করেন। বাকি ৫ লাখ টাকা ২০১১ সালের ১ জুনের মধ্যে দেয়ার জন্য লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। নির্ধারিত সময়ে বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জমি ক্রয়ের জন্য বায়না দেয়া ৪ লাখ টাকা মৌখিকভাবে সমন্বয় করা হয়। আর হারানো বায়নাপত্র খুঁজে পেলে লিখিত করা হবে বলে মৌখিকভাবে আলোচনা করা হয়। এভাবে দোকান ভাড়ার অগ্রিমসহ ১৫ লাখের মধ্যে মোট ১৪ লাখ টাকা সমন্বয় করে নেন। তারপরও শাহজালালের কাছে এক লাখ টাকা পাওনা থাকে আব্দুল আলিমের। শাহজালাল আব্দুল আলিমের দীর্ঘদিনের ভাড়াটিয়া হওয়ায় বায়নাপত্র ফেরত নিয়ে আর আলোচনা হয়নি।
একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন শাহজালালের দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তি শেষ হয়। ওই সময়ে শাহজালালের দেয়া ১৪ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিতে চান আব্দুল আলিম। তখন টাকা না নিয়ে শাহজালাল ‘হারিয়ে যাওয়া’ সেই বায়নাপত্র বের করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার দাবি করেন এবং দোকানঘর ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
এরই মধ্যে সেই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ করা শুরু করেন জমির মালিক আব্দুল আলিম। কিন্তু তার মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেন শাহজালাল। অভিযোগের পরও গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে সন্ত্রাসীদের নিয়ে শাহজালাল জমিতে গিয়ে আলিমকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন আব্দুল আলিম।