বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরের সুবলকাটি গ্রামে বসত বাড়ি রক্ষা, মারধর ও মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শাহাজান ফরাস। বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
শাহাজান ফরাস বলেন, গ্রামের নিজ জমির উপর বসত বাড়িতে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। গত দুই বছর আগে জানতে পারেন ২৫ শতক জমির এস.এ রেকর্ডিও মালিক কালু গাজী ও জেলেখা বিবি। রেকর্ডিও মালিক কালু গাজী ও জেলেখা বিবির কাছ থেকে তার আপন বড় মামা সাত্তার সরদার ওই জমি ক্রয় করে নেন। যার দলিল নং ৫৯২০। জমির আরএস রেকর্ড ভুল হওয়ার কারণে তিনি দেওয়ানি মামলা করেনি। যার মামলা নং ২৭৫/২৩. এসএ রেকর্ডিও কালুগাজী ও জেলাখা বিবি ওই জমি বিক্রয় করা সত্বেও পুনরায় তার ছেলে সালাম গাজী ও কালাম গাজী ওই জমি দাবি করেন। রেকর্ড বুনিয়াদে কিছু কুচক্রী মহলের পরামর্শ শুনে সালাম গাজী ও কালাম গাজি এ মামলা শেষ না হলেও ভাড়াটিয়া লোকজন, মস্তান নিয়ে জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমনকি গত মাসের ৩১ তারিখে একটি মাইক্রো, নসিমন ও ভ্যান যোগে ৩০ থেকে ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা অতর্কিতভাবে তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময়ে তাদের কাছে থাকা গাছিদা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, লোহার রড ও লাঠিসোটা ছিল এবং তারা তার স্ত্রী ও মেয়েদের উপর হামলা চালায় ও অতর্কিতভাবে মারপিট করতে থাকে এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। বাড়ির মধ্যে ফলদ ও বনজ গাছ কেটে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। তাদের নারকীয় তাণ্ডব চালালে পরিবারের লোকজন ভয়ে চিৎকার করতে থাকে তখন সে বাড়ির পাশের দোকানে ছিলো। তাৎক্ষণিক সে ছুটে আসে বাড়ির দিকে তখন তারা অতর্কিত হামলা চালায় ও মারধর করে। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে এবং হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে প্রতিবেশী সাগর, জনি, মারুফসহ ৪ থেকে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। প্রতিপক্ষ আজিত, হামিদুর, আমিনুর, আনার, রুম্মান, সালাম, মজিবর রহমান, কালামসহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। প্রতিপক্ষের একজন ঘটনার ১২ থেকে ১৫ দিন পর স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যায়। তাই তারা তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে দায়ী করার জন্য হত্যা মামলা দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এমন মিথ্যা মামলায় প্রতিবাদ জানাতে ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।