রাজগঞ্জ সংবাদদাতা
মণিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাটের পানডহরা বিলের শাপলা ফুল বিক্রি করে সংসার চলে রত্নেশ্বাহাপুর গ্রামের শওকত হোসেনের। ভোরে বিল থেকে শাপলা তুলে বিক্রির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন সকাল হতে না হতেই।
গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরেও রয়েছে শাপলার ব্যাপক চাহিদা তাই বিক্রিও কম হয়না। কিন্তু পানির অভাবে শাপলা নাহলেও না খেয়ে থাকতে হয় শওকতের পরিবারকে। এবছর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি বিলে ব্যাপকহারে ফুটেছে শাপলা। তাই শওকতের ব্যবসা বেশ রমরমা।
রত্নেশ্বাহাপুর গ্রামের সর্দারপাড়ার বাসিন্দা শওকত পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় কর্তব্যের বোঝা এখন তার ঘাড়েই। শুকনো মৌসুমে তিনি করেন রাজমিস্ত্রির কাজ। আর বর্ষার এই দিনগুলোতে শাপলা বেঁচেই চলে তার সংসার। পানডহরা বিলপাড়ের বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, বর্ষাকালে বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করেন অনেকে। তাদের মধ্যে শওকত হোসেন একজন। শওকত জানান, ১০০ আঁটি শাপলা তুলতে পারলে সাত থেকে আটশ’ টাকা বিক্রি হয়। উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, শাপলা মানুষ চাষাবাদ করে ফলায় না। প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্ষার পানিতে বেড়ে ওঠে, কোন ধরনের যত্ন,পরিচর্যাও করা লাগে না। কিন্তু আমরা যদি আমাদের মাটিকে উর্বর, কীটনাশক মুক্ত রাখতে না পারি তাহলে প্রকৃতির এই উপহার একদিনে আমাদের চোখের সামনেই হারিয়ে যাবে। বর্ষার পানির সাথে নতুন মাছ এবং বিলের শাপলা ২টি উপায়ে মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। তবে অতিরিক্ত সংগ্রহে যেন আমাদের জাতীয় ফুলের বীজ ধ্বংস হয়ে বিলুপ্তির পথে না যায়। সেদিকেও লক্ষ্য রাখাটা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।