ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
যশোরের ঝিকরগাছায় ওএমএস ডিলার আসাদুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে ভার্নালেবল উইমেন বেনিফিসরির (ভিডব্লিউবি) ৩০ কেজি চালের মধ্যে ১৫ কেজি ভাগ নেয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা খেয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এম মামুনুর রশীদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ বস্তা চাল জব্দ করেছেন।
এ সময় স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান মাসুদের পাশের একটি গুদামে ন্যায্যমূল্যের আরও ১১বস্তা চাল পাওয়া যায়।
জানা গেছে, নাভারন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলীর ছেলে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মাসুদ স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ওএমএস চালের ডিলার। পিতা ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগে তিনি ইউনিয়নের মহিলাদের ভিডব্লিউবি চালের কার্ড করার সময় ৩০ কেজি চালের মধ্যে প্রতিমাসে অর্ধেক ১৫ কেজি তাকে দেয়ার শর্তে কার্ড করে দেন। মঙ্গলবার দুইজন মহিলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে ওএমএস ডিলারের গোডাউনে নিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন। এসময় স্থানীয় জনতার জেরার মুখে চম্পা খাতুন ও মরিয়ম নামের ওই দুই মহিলা বলেন, প্রতিমাসে ১ কেজি চাল আসাদুজ্জামান মাসুদকে দেয়ার শর্তে এই কার্ড করে দিয়েছিল।
সোমবার
বিকেলে মাসুদ ফোন দিয়ে তাদেরকে বলেছে চালের ভাগ না দিলে কার্ড কেটে দেয়া হবে। সেই ভয়ে তারা এ মাসে উঠানো প্রতিকার্ডে ২বস্তা চালের মধ্যে এক বস্তা করে মাসুদকে দিতে এসেছে। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চম্পা খাতুন ও মরিয়ম নামের দুই মহিলার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ বস্তা চাল, ২টি ভিডব্লিউবি চালের কার্ড জব্দ করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে জমা দেন।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে থাকা ১০ বস্তা চাল তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিতরণ না করতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলীকে নির্দেশ দেন। জানতে চাইলে নাভারন ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী জানান, চাল ভাগের বিষয়টি তিনি জানতেন না।