বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অধ্যক্ষকে মারধর এবং জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলার চার আসামি জামিনে বের হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ কলেজের লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। আটক করতে পারেনি মামলার আসামিদের। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল থাকার কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। কলেজের লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করছে না। যে কারণে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আবারও যে কোন সময় হামলা চালাতে পরে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই তারেক নাহিয়ান ৫ দিন আগে জানিয়েছিলেন মামলার এক ও তিন নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। মামলার উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এসআই তারেক নাহিয়ান বলেন, মামলার গ্রেফতার দুই আসামি জামিন নিয়েছে। মালামাল উদ্ধার করা হয়নি। অন্য আসামিও গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে, যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজের মার্কেট ও আরএন রোড এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের দোসরা প্রশাসন ও পুলিশে বহাল থাকায় তারা এখনো অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। হোমিওপ্যাথিক কলেজটি প্রকাশ্যে দিনের আলোতে যেভাবে দখল করতে চেয়েছিল তা সিনেমাকে হার মানায়। তারা বলছেন, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর চৌরাস্তায় থানা মোড়ে বসে সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৈয়দ মুনির হোসেন টগরের নির্দেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন হ্যানিম্যান হোমিও ফার্মেসীতে বসে আওয়ামী লীগের এসব দোসররা কলেজটি দখল নিতে বিভিন্ন রকম ফন্দি চালিয়ে যাচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেমও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি পদোন্নতি নিয়েছেন অবৈধভাবে। সিনিয়রকে টপকিয়ে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ফ্যাস্টিট হাসিনার পিএস নজরুল ইসলাম খানের হাত ধরে হোমিও কলেজে চাকরিতে ঢোকেন। আবুল হাশেম দীর্ঘ ১৫ বছর কখনো এনআই খান আবার কখনো সাবেক এমপি ও মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে লোক পরিচয় দিয়ে কলেজ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন।