শ্যামনগর সংবাদদাতা
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আলোদাসীর জন্ম ১৯৩৪ সালে। এই অক্টোবরে তাঁর ৯০ বছর পূর্ণ হয়েছে। দরিদ্র মেয়ের নাতির সংসারে থাকেন তিনি। প্রতিবন্ধী ছেলে গীরেন গাইনের বয়স হয়েছে ৭৫ বছর।
স্বামী হেমন্ত গাইন মারা গেছে আরও ১০ বছর আগে। প্রতিবন্ধী ছেলে ও মা সরকারি ভাতার জন্য বার বার আবেদন করেও কোনো ভাতার কার্ড পাননি আজও।
আলোদাসীর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাটি গ্রামে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, কত মানুষের কাছে গেলাম। ভোটের সময় কত মানুষ আশ্বাস দিল। কিন্তু কেউই কিছুই দিল না।
আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব। নাতির সংসারে সাতজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য নাতি। তিনি বলেন, তার নানি ও তার মায়ের নানির অন্য কেউ না থাকায় তিনি একসঙ্গে থাকেন। মাঠে চাষযোগ্য জমি নেই। দিনমজুর করে সংসার চলে মেয়ের নাতির।
তিনি আরও বলেন, তাঁর নানি ও নানির মা আলোদাসী দুজনই বয়স্ক ভাতার যোগ্য হলেও কেউই কোনো ভাতা পান না।
জানতে চাইলে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক বলেন, জয়ী হওয়ার পর করোনার সময় ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আর বলেছি, এবার কার্ড এলেই করে দেব। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যোগদানের পর গত সপ্তাহে বিষয়টি জেনেছি। ইতিমধ্যে ওই নারীর কাগজপত্র জমা নেয়া হয়েছে।
শিগগিরই তিনি ভাতার আওতায় আসবেন। এসব তালিকা জনপ্রতিনিধিরা করেন। অনেক সময় কেউ কেউ বাদ পড়ে যান।
বিষয়টি বিবেচনা করে চলতি বছর থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে তার বয়স্ক ভাতা দিতে পারি সে ব্যবস্থা করব।