কপিলমুনি সংবাদদাতা
কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বজলুর বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগসহ ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন কপিলমুনি প্রেসক্লাবকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে কপিলমুনি প্রেসক্লাবের এক জরুরি সাধারণ সভা ক্লাবের নিজস্ব মিলনাযতনে অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাবের আহ্বায়ক এইচএম শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বজলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সদস্য এসএম লোকমান হেকিম, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক এইচএম এ হাশেম, শেখ দীন মাহমুদ, আব্দুস সবুর আল-আমীন, প্রবীর বিশ্বাস জয়, অলি উল্যাহ গাজী, তপন পাল, তহিদুজ্জামান মুকুল, শেখ নাদীর শাহ্, মনিরুল ইসলাম, পবিত্র কুমার, হোসেন আলী, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সাবেক সভাপতি জিএম হেদায়েত আলী টুকুসহ কার্যকরী পরিষদের ৬ সদস্য পদত্যাগ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর গঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে নিজেদের অবস্থানসহ মন:পূত না হওয়ায় এর একমাস পর স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে কথিত সভার মাধ্যমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিদ্রোহী আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয়। প্রেসক্লাবের বাইরে বসে বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্লাবের সুনাম ক্ষুন্ন, কমিটিকে অস্বীকারসহ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কথিত কমিটির আহ্বায়ক এসএম আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব জিএম মোস্তাক আহম্মেদসহ ৩ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপরও তারা থেমে থাকেনি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তারা প্রেসক্লাব চত্বরকে সভার ভেন্যু দেখিয়ে আরো একটি কথিত সভা দেখিয়ে সেখানে ক্লাবের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বজলু ও যুবদলকে কলুষিত করে সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমসহ বেশ কিছু মিডিয়ায় অপপ্রচার করে। এছাড়া ওই খবরে তারা আরো দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম বজলুর নেতৃত্বে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের নিয়ে জোরপূর্বক হেদায়েত আলী টুকু, মিলন দাশ ও মুন্সী রেজাউল করিম মহব্বতকে ভীতির মুখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর আদায় করা হয়।
এমতাবস্থায় সংগঠন সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার, নানা দুর্নীতি-অনিয়মের সাথে জড়িত সর্বোপরি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মিলন কুমার দাশকে তার সদস্য পদ থেকে অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। এরপর সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে প্রেসক্লাব থেকে আজীবন বহিস্কার করা হয়।
এছাড়া আহ্বায়ক কমিটি থেকে বিপথগামী দুইজন সদস্যকে বাদ দিয়ে তহিদুজ্জামান মুকুল ও শেখ নাদীর শাহকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।