সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহরে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট শেষে ধুলিহর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সহসভাপতি অহেদ আলীকে ধরে নিয়ে যেয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী আমবাগানে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় শহরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ ধুলিহর গ্রামের নবাত আলী গাজীর স্ত্রী অহেদ আলীর স্ত্রীর কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ছয় ভরি সোনার গহনা ও একটি মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে।
পরে সাত লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বাবু সানা অহেদ আলীর শিশু সন্তানকে পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। পরে অহেদ আলীকে মারতে মারতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে নির্যাতন করে খুন করে লাশ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে লোকমুখে শুনে অহেদের লাশ দেখতে পায় তার স্ত্রী পারুল বেগম ও তার স্বজনরা।
পরে লাশ পুলিশ ও আসামিরা তড়িঘড়ি করে দাফন করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে গত ২৭ আগস্ট নিহত অহেদ আলীর স্ত্রী পারুল বেগম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহউদ্দিন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি আবু আহম্মেদসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একইসাথে একজন সহকারি পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি (১০) সাতক্ষীরা সদর থানায় রেকর্ড করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক সাইফুল করিম সাবুকে অহেদ আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং সোমবার তাকে আদালতে পাঠান।