বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদরের বাদিয়াটোলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মেহের আলীর হত্যাকন্ডের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা এখানো চলছে। গত বৃহস্পতিবার প্রবাসী মেহের আলীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যা মামলার প্রধন আসামিরা এরই মধ্যে আটক হয়েছে। তারপরও এখনো অনেকে গ্রাম ছাড়া। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বাদিয়াটোলা গ্রামের প্রবাসী মেহের আলীর স্ত্রী নাজমিন নাহার জানিয়েছেন, তার স্বামী ও এক ছেলে বিদেশে থাকেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একই গ্রামের কতিপয় দুর্বৃত্ত ৮ আগস্ট আমার বাড়িতে এসে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যায়। আমার জা সৈরনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়। এরপর পরের রাতে একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মেহের আলী অপরিচিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় মেহের আলীর পিতা বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আমার প্রবাসী স্বামী ও ছেলেকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করে। তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করে।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে মেহের আলীর সমর্থকরা গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, লুটপাট করে। ভয়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলে এ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে মেহের আলীর লোকজন আজও গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ধান, চাল, টাকা পানির মটরসহ মুল্যবান জিনিষপত্র চুরি ও ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। এ ছাড়া নিহত মেহের আলী ভাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার স্বামী ও ছেলেকে হত্যার হুমকিসহ আর কোনদিন দেশে আসতে পারবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে আমি ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।