বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এ বছর স্বাধীনতা দিবসে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন থাকছে না। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির বাইরে অতিরিক্ত একটি আলোচনা সভার আয়োজন করবে যশোর জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। সভায় দুই দিবসের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম।
গণহত্যা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। এছাড়া, ২৫ মার্চ রাত ১০:৩০ থেকে ১০:৩১ পর্যন্ত এক মিনিট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে এ বছর প্রদীপ প্রজ্বালনের পরিবর্তে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ৩১ বার তোপধ্বনি। মণিহারে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল ৯টায় শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা প্রশাসকের সালাম গ্রহণ। জেলখানা ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন জানান, দিবসগুলো ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের বিশেষায়িত দল সোয়াটের পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করবে। মণিহারে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে আগের রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন কোনো কর্মসূচি নেয়া যাবে না যা বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। আমরা সরকারের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কর্মসূচি পালন করব।’