মহেশপুর সংবাদদাতা
মহেশপুরে গাছের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জাফর হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে বিচার শালিসে পিটিয়ে হত্যার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের জীবননগরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর হোসেন ওই গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলমগীর বাদী হয়ে সামান্ত চারাতলাপাড়ার খেলাফত আলীর ছেলে আব্দুল আলীকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের নামে মামলা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী জানান, এজাহারের ৪নং আসামি আব্বাস আলীর লাগানো গাছ জমি মাপামাপির পর জাফর হোসেনের অংশে চলে আসে। এরপর আট বছর আগে জাফর হোসেন ওই গাছ কেঁটে বিক্রি করেন। দীর্ঘ বার বছর পর ঢাকা থেকে সপ্তাহ খানেক আগে স্বপরিবারে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন জাফর হোসেন। ঘটনার দিন রাতে শালিস বিচারের নামে বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা। বিচার শালিসের একপর্যায়ে জাফর হোসেনকে মারপিট করা হলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
এদিকে নিহত জাফর হোসেনকে নিজেদের দলীয় কর্মী দাবি করে শুক্রবার বিকেলে সামন্তায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। জাফর হোসেনের খুনি জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপিত আব্দুল মজিদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
একই সময়ে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে দোষ অস্বীকার করেছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনের জামায়াতের উপজেলা আমির ফারুক আহম্মেদ বলেন, জীবননগর পাড়ার আব্বাস আলী ও তার খালতো ভাই জাফর হোসেনের সাথে পূর্বের গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ মিমাংসার জন্য গ্রাম্য শালিস বাসানো হয়। তাদের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাতাতি ও ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এতে জাফর হোসেন মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। জাফর হোসেন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। কিন্তু বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য জামায়াতের নেতা কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।