বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস। তীব্র তাপপ্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রাণিকূল। এদিন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের গরমে নাভিশ্বাস উঠে যায়। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে তীব্র গরমের মধ্যেও কাজ করতে হয়।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৩০ জুনে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে ১৮ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। রেলগেট এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘১০টার পর থেকেই আজ রোদের তাপ বেশি বুঝা যায়। দুপুরে সেই তাপমাত্রা দ্বিগুণ হয়। মোটরসাইকেলে করে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার পথে সড়কের পিচের গরম মুখে লাগছে। আনোয়ার নামে আরেকজন জানান, ‘দুুপুরে জুম্মার নামাজ পড়তে বাইরে এসে গরমে হাসফাস অবস্থা। মসজিদের সিঁড়িতে পা রাখা যাচ্ছে না এমন গরম ছিলো।’
শহরের কোর্ট মোড় এলাকায় বসেছিলেন রিকশাচালক হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এত গরমে মানুষ বের হবে কী করে? আমরা পেটের দায়ে বের হয়েছি।’
এদিকে, বেলা চারটা পর্যন্ত শহরের মানুষের চলাচল কম দেখা গেলেও ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা উপলক্ষে বিকেল ও সন্ধ্যার পরে শহরে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। গরমের মধ্যেও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।