বাংলার ভোর প্রতিবেদক
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলার ভোর পত্রিকার ছাপা সংস্করণে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) যশোরের মণিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের নামে চলা নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিপোর্টের মণিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণের নামে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নিপোর্টের একজন উপপরিচালক সরেজমিন ঘটনা তদন্তে মনিরামপুরে আসেন। তদন্তের পর মণিরামপুরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেনকে সাতক্ষীরার তালা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।
গত ১৩ মে মঙ্গলবার নিপোর্টের উপপরিচালক ফয়সাল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই চিঠিতে মেহেরপুরের গাংনি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রভাষক (প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা) ডা. ফ্লোরা হায়দার রিয়াকে মনিরামপুরে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
নিপোর্টের পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম মোস্তফা তদন্ত ও তুহিন হোসেনের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরপরই দুই মাসের প্রশিক্ষণে যান তুহিন হোসেন।
প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ফিরে আসার পর এপ্রিলে আমাদের একজন উপপরিচালক সরেজমিন মনিরামপুরে ঘটনা তদন্ত করেছেন। এরপর পরিচালকের নির্দেশে তুহিন হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।
নিপোর্টের মণিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তুহিন হোসেন বলেন, বদলির চিঠি পেয়েছি। আগামী শনিবার ফ্লোরা হায়দারকে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে তালায় যোগদান করব।
প্রসঙ্গত, নিপোর্টের মণিরামপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে তুহিন হোসেন যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে তুহিন হোসেনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ক্লাসের নামে চিকিৎসকদের ভুয়া হাজিরা দেখিয়ে বিল ভাউচার করে অর্থ হাতানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়া নাস্তার ব্যয়, কেন্দ্রের কক্ষ ও কোয়ার্টার ভাড়া থেকে টাকা হাতানো ও অফিস ফাঁকিসহ নাম মাত্র মাঠ প্রশিক্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।