নিহতের স্বজনেরা ও পুলিশ জানিয়েছে, আগামি মাসে নিহত আসিফ মালয়েশিয়াতে যাওয়ার কথা ছিলো। এই জন্য যশোর পার্সপোট অফিসে পার্সপোটের আবেদন করেন। আজ তার পার্সপোট দেওয়ার দিন ছিলো। দুপুরে তার কলেজের বন্ধু রাকিবকে নিয়ে পার্সপোট আনতে যান। ফেরার পথে যশোর -ঝিনাইদহ মহাসড়কের যশোরের খয়েরতলা নামক স্থান আসলে ঝিনাইদহ থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনা স্থলেই আসিফের মৃত্যু হয়। আর গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা রাকিবুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা ও নিহতের স্বজনেরা সড়কে গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ঘটনা স্থলেই আসেন নিহত আসিফের মা বাবা ও চাচা। অকালে এভাবে মারা যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না তারা। তারা তিন জনেই সড়কের পাশে আহাজারি করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা তাদের শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বুকফাটা আর্তনাদ করছিলেন বাবা মেহের আলী। ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলছিলেন, ‘আমার কি হয়ে গেলো। আমার তো সব শেষ! হে মাবুদ তুমি আমার ছেলেটারে কেন এভাবে কেড়ে নিলে। ছেলেটারে বিদেশে পাঠাতে চাইছিলাম। কাগজপত্রও এসেছিলো। আজ পার্সপোট দিবে বলে খুব খুশি ছিলো। পার্সপোট আনতে গেয়ে ছেলেটার প্রাণটা চলে গেল। আমি কি নিয়ে বাঁচবো। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেছিলাম। ছেলেটা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হলো। আমার স্বপ্নও পিষ্ট হলো……।