বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর শাখা কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলাম হত্যার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রোববার ও শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এসব সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বেড়েধাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারকে সরকারি মানবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই বান করে ঢেউটিন, ৩০ কেজি চাল, নগদ ৬ হাজার টাকা, দুটি কম্বল, একটি করে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় যশোর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সহায়তা প্রদান করা হয়।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রাথমিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী সুমন উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান। সেখানে মৎস্যঘেরের জমি সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর শেষে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে তরিকুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা নিশ্চিত হলে পালিয়ে যায়। কৃষক দল নেতার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের ১৮টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।