বাংলার ভোর প্রতিবেদক
পুলিশি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও সহজীকরণের অংশ হিসাবে যশোরের ৯টি থানায় অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) সেবা চালু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত (২১ জুলাই) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। এসময় তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অনলাইন কার্যক্রম পরিদর্শন ও সেবা গ্রহিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে অনলাইনে শুধুমাত্র হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যেত, এখন থানায় স্বশরীরে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে সকল ধরণের জিডি করা যাবে।
এ সেবা উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপার রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এই সেবা চালু করা হচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। যে কেউ ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবে। আগে শুধু হারানো জিডি করা যেত। এখন নিখোঁজ ব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ সর্বমোট ২৯টি অধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে অনলাইন জিডি করতে পারবে মানুষ। এই অ্যাপটিতে সব তথ্য রয়েছে। এতে সহজেই মানুষ জিডি করতে পারবে, ফলে ভোগান্তিও কমবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) আহসান হাবীব, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত, ওসি তদন্ত কাজী বাবুল প্রমুখ।
উদ্বোধনের পরেই থানাতে শহরের শেখহাটি জামরুল তলা থেকে সেবা নিতে আসেন রহিমা বেগম (৫১)। তিনিই প্রথম কোতয়ালী মডেল থানায় অনলাইনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি যেহেতু অনলাইনে জিডি বা অভিযোগ করার বিষয়ে জানতেন না। তাই ডিউটিরত অফিসার রহিমার নিজ মোবাইল থেকেই অনলাইনে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ তার স্বামী রাজু তাকে প্রায় নির্যাতন করে। স্থানীয়ভাবে মিটমাট করলেও তার স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাই নিজেই থানাতে এসে অভিযোগ দিতে এসেছি। এসে দেখি নিজ মোবাইলেই অনলাইনে অভিযোগ দিতে পেরেছি। এর আগে থানার বাইরে যেয়ে কম্পিউটারের দোকানে লাইন বা অপেক্ষা করে অভিযোগ লিখিয়ে তারপর জমা দিতে হতো। এখন সহজেই অভিযোগ দিতে পেরেছি। বিষয়টি জানলে থানাতেই আসা লাগতো না।’
পুলিশ জানিয়েছে, এই সেবা নিতে online GD অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। রেজিস্ট্রেশন বা অনলাইন জিডি করতে সমস্যা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অনলাইন জিডির মাধ্যমে অভিযোগকারী তার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবে। তদন্তকারী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সাধারণ ডায়েরি করা যায়। দূরবর্তী এলাকা থেকে, যাতায়াত খরচ ও সময় অপচয় বা লাইনে দাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। অনলাইন সিস্টেমে প্রতিটি জিডি ট্র্যাক করা যায়। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামের মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে অনলাইন জিডি সহায়তা নিতে পারবে।
এ সেবা উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপার রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এই সেবা চালু করা হচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। যে কেউ ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবে। আগে শুধু হারানো জিডি করা যেত। এখন নিখোঁজ ব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ সর্বমোট ২৯টি অধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে অনলাইন জিডি করতে পারবে মানুষ। এই অ্যাপটিতে সব তথ্য রয়েছে। এতে সহজেই মানুষ জিডি করতে পারবে, ফলে ভোগান্তিও কমবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) আহসান হাবীব, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত, ওসি তদন্ত কাজী বাবুল প্রমুখ।
উদ্বোধনের পরেই থানাতে শহরের শেখহাটি জামরুল তলা থেকে সেবা নিতে আসেন রহিমা বেগম (৫১)। তিনিই প্রথম কোতয়ালী মডেল থানায় অনলাইনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি যেহেতু অনলাইনে জিডি বা অভিযোগ করার বিষয়ে জানতেন না। তাই ডিউটিরত অফিসার রহিমার নিজ মোবাইল থেকেই অনলাইনে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ তার স্বামী রাজু তাকে প্রায় নির্যাতন করে। স্থানীয়ভাবে মিটমাট করলেও তার স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাই নিজেই থানাতে এসে অভিযোগ দিতে এসেছি। এসে দেখি নিজ মোবাইলেই অনলাইনে অভিযোগ দিতে পেরেছি। এর আগে থানার বাইরে যেয়ে কম্পিউটারের দোকানে লাইন বা অপেক্ষা করে অভিযোগ লিখিয়ে তারপর জমা দিতে হতো। এখন সহজেই অভিযোগ দিতে পেরেছি। বিষয়টি জানলে থানাতেই আসা লাগতো না।’
পুলিশ জানিয়েছে, এই সেবা নিতে online GD অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। রেজিস্ট্রেশন বা অনলাইন জিডি করতে সমস্যা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অনলাইন জিডির মাধ্যমে অভিযোগকারী তার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবে। তদন্তকারী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সাধারণ ডায়েরি করা যায়। দূরবর্তী এলাকা থেকে, যাতায়াত খরচ ও সময় অপচয় বা লাইনে দাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। অনলাইন সিস্টেমে প্রতিটি জিডি ট্র্যাক করা যায়। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামের মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে অনলাইন জিডি সহায়তা নিতে পারবে।