বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি ভালো কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য জাতিকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া।
এটি শুধু আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।
যশোর কালেক্টরেট মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনদিনের সফরে খুলনায় যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় তিনি এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি সরকারি চাকরি জীবনে অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে যে গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে এসেছে, তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় নাসির উদ্দীন ঢাকায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য মসজিদে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং শোক প্রকাশ করেন। এ সময় যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাধারণ মুসল্লিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, তিন দিনের সফরে খুলনায় রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। সিইসির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সফরসূচি থেকে জানা যায়, সিইসি শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিমানযোগে যশোর পৌঁছান। সেখানকার সার্কটি হাউজে রাত যাপন করে পরের দিন সড়ক পথে যাবেন খুলনায়। এদিন বেলা ১০টায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সভা করবেন তিনি। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা করবেন। এতে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, বিজির সেক্টর কমান্ডার, আনসারের উপ-মহাপরিচালক, কোস্ট গার্ডের জোনাল কমান্ডার, র্যাবের অধিনায়ক, সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সভার পর সিইসি রাতে সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। ২৭ জুলাই সড়ক পথে যশোর হয়ে ঢাকায় ফিরবেন।