বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিন বেগম বরেছেন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন বিএনপি শুরু করেছিল তা এখনো চলমান। আন্দোলনের একটি পর্যায়ে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও এখনো জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই যতদিন এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে ততোদিন বিএনপির এই আন্দোলন চলবে। বিএনপি রাজপথে ছিলো, এখনোও আছে। যতোদিন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে ততো দিন বিএনপি রাজপথে থাকবে। আমাদের মনে রাখতে হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতেই গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে, দেশ নিরাপদ হতে পারে। দেশের উন্নয়নে গতিশীলতা আসতে পারে। দেশ স্থিতিশীল হতে হলে তার পূর্ব শর্তই হচ্ছে জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশের শাষন ভার ন্যস্ত হওয়া। অনির্বাচিত সরকারের কাছে দেশ ও দেশের উন্নয়ন এবং সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। তাই অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পনের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহবান জানান।
তৃণমূলে নারীদেরকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে যশোর সদর উপজেলা মহিলা দলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হাসিনা ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই নারী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সদর উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা মোস্তফা প্রমুখ। মত বিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা পারভিন শৈলী ও যুগ্ম-সম্পাদক সুফিয়া মাহমুদ রেখা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরো বলেন, বিএনপি কখনো নিজেদের ভোগ বিলাসের জন্য রাজনীতি করে না, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য আমরা রাজনীতি করি। বিএনপি যতবারই জনগণের রায়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে ততবারই দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এই যশোরেও প্রতিটি উন্নয়ন কাজে বিএনপির হাতের ছোঁয়া রয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের অভিভাবক মরহুম তরিকুল ইসলামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছিলেন।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিগত এক যুগের অধিক সময় ধরে জনগণের ভোট ডাকাতি করে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কেবল মাত্র জনগণের সম্পদ লোপাট করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। যে কারণে সারা দেশের মতো যশোরেও উন্নয়নের যাত্রা থেমে গিয়েছিল। আগামীতে বিএনপি জনগণের রায়ে আবারও দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে উন্নয়নের চাকা সচল করা হবে। যশোরের মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানো হবে। আর তার জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও সংঘটিত হতে হবে। মনে রাখতে হবে সামনে কঠিন সময়। আমাদের সকলকে ধৈয্য সহকারে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের ভালোবাসা নিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।