বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের খড়কি বামনপাড়া এলাকার স্যানিটারি টেকনিশিয়ান বাবুকে মারপিট করে হত্যা ও তার ভাইকে জখমের অভিযোগে কোতয়ালি থানার সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খড়কি বামনপাড়ার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে নিহত বাবুর ভাই নুরুজ্জামান মুন্না বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তুনু কুমার মন্ডল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর চক্রবর্তী। আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানার সাবেক এসআই মুহাম্মদ জামিল আহম্মেদ, এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার শাহ আলম ডাকাতের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম রাকিব।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ শাসন আমলে আসামিরা ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট বিকেলে আসামিরা নুরুজ্জামান মুন্না ও তার ছোট ভাই বাবুকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাতে আসামিরা তাদের হকিস্টিক দিয়ে বেদম মারপিট করে। মারপিটে বাবুর হাতে কব্জি ও মুন্নার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে বাবুর হাতের কব্জিতে ক্যান্সার হয়ে ২০২০ সালের ১৬ অক্টোরব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
নুরুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘আমি ইলেকট্রিশিয়ান আর আমার ভাই বাবু স্যানিটারি টেকনিশিয়ান ছিল। স্থানীয় বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার শাহ আলম ডাকাতের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে আমার ভাই বাবুর গোলযোগ হয়। রাকিব পুলিশের সোর্স হওয়ায় পুলিশের প্রভাব নিয়ে আমার বাড়িতে অভিযানে আসেন। বাড়িতে কয়েক বোতল ফেনসিডিল দেখিয়ে আমাকে ও আমার ভাইকে আটক করে। পরে রাতে পুলিশ তাদের হকিস্টিক দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবু মারা যায়। ওই সময় সাবেক পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিলে প্রতিকারের বদলে উল্টো আমাকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

