কপিলমুনি সংবাদদাতা
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে পুলিশ রাশিদা বেগম (৩৪) নামে দুই সন্তানের জননী বিধবার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ওই বিধবার দেবর মফিজুল গাজী ওরফে মইদুলকে (৩৮) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল লিচু গাছ থেকে রাশিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের প্রস্তুতি নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাতে।
পুলিশ জানায়, রাশিদাকে নির্যাতন ও তার যৌনাঙ্গে লাঠি জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের মৃত এনামুল গাজীর বিধবা স্ত্রী রাশিদা বেগম ঘটনার রাতে মেয়ে তাসমিরা খাতুনকে (১৩) নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল।
রাতের কোন এক সময় রাশিদাকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা শেষে বাড়ির সামনের একটি লিচু গাছে ওড়না দিয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। সকালে বাড়ির লোকজন গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন .. .. জীবননগরে নিজ ফ্ল্যাট থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
এর আগে স্থানীয়রা রাশিদার দেবর মফিজুল ইসলাম ওরফে মইদুলকে (৩৮) আটক করে স্থানীয় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ পৌছালে তাকে তাদের হাতে সোর্পদ করে।
নিহতের মেয়ে তাসমিরা খাতুন জানায়, গভীর রাতে তার মাকে তারই কাকা মফিজুল জমির মিউটেশন করার কথা বলে ঘরের বাইরে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সে তার মা, কাকা, দাদী ও চাচাকে ডাক চিৎকার দিলেও কেউ সাড়া দেয়নি।
যদিও নিহতের ভাসুর রবিউল গাজী বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বাইরে আসলে লিচু গাছটি নড়া-চড়ার শব্দ পান। এ সময় তিনি গাছে বিড়াল উঠেছে ভেবে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।
পরে নামাজ শেষে ঘেরে চলে গেলে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তার মেয়ে বিষয়টি মোবাইলে তাকে জানালে তিনি ফিরে এসে ঘটনাটি দেখেন।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তাকে হত্যা শেষে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে।

