বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আজ মহান বিজয় দিবস।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন।
পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।
১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ মুক্ত হওয়ার এই দিনটিকে আজ জাতি বিজয় দিবস হিসেবে উদ্যাপন করছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ।
এই দিনে অর্জিত বিজয় কেবল ইতিহাস নয়-এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য একটি চলমান অঙ্গীকার। তাই বিজয় দিবসের তাৎপর্য শুধু অতীত স্মরণে নয়, বর্তমান মূল্যায়নেও নিহিত।
বিজয় দিবস তাই কেবল আনুষ্ঠানিক উদযাপনের নয়, বরং সতর্কতার দিনও। এই দিনে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য আত্মসমালোচনার সুযোগ তৈরি হয়।
এই দিনে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধ তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না হলেও এর চেতনা ধারণ করা তাদের নাগরিক দায়িত্ব।
ইতিহাস জানা, সমালোচনামূলক চিন্তা চর্চা এবং দায়িত্বশীল অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে। বিজয় দিবস তরুণদের জন্য কেবল অতীত জানার নয়, ভবিষ্যৎ নির্মাণের অনুপ্রেরণাও।
এদিন সকালে শহরের মণিহার এলাকায় অবস্থিত স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া দিবসটি উদযাপনে যশোর জেলা প্রশাসন, জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

