বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের আলোচিত তানভীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাব্বি ইসলাম মুসাকে অবশেষে আটক করেছে র্যাব-৬। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুসা র্যাবের তালিকাভুক্ত ১৩ নম্বর চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত আসামি।
আটকের পর মুসাকে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রের অংশ উদ্ধার করেছেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুসার স্ত্রী মুক্তা খাতুনকেও হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক সাংবাদিকদের জানান, গত ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে যশোর শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে সন্ত্রাসী হামলায় শংকরপুর হাজারিগেট কলোনি পাড়ার বাসিন্দা ছয় মামলার আসামি তানভীর খুন হন।
আরও পড়ুন .. .. যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২
এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের মধ্যে রাব্বি ইসলাম মুসা ছিল মূল হোতা। সে তানভীর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি। হত্যা মামলার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে র্যাব মুসার অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনিরামপুর থেকে তাকে আটক করে। মুসাকে আটকের পর তাকে সাথে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য র্যাব সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তার শংকরপুরস্থ বাড়িতে অভিযান চালান।
রাত সাড়ে দশটার দিকে মুসার বাড়ির পাশের একটি ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে বিশেষ কায়দায় প্যাকেটে মোড়ানো পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। মুসা জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে একটি অস্ত্র থাকার কথা জানালে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। মুসা আরও জানায় যে তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন অস্ত্রের বিষয়ে অবগত। তল্লাশির সময় মুক্তা খাতুনের কাছ থেকে একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন জব্দ করা হলেও পিস্তলটি পাওয়া যায়নি। এরপর বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুসার স্ত্রী মুক্তা খাতুনকে আটক করে র্যাব ক্যাম্পে নেয়া হয়।
বর্তমানে তানভীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাব্বি ইসলাম মুসা এবং তার স্ত্রী মুক্তা খাতুনকে র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যশোর থেকে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

