বাংলার ভোর প্রতিবেদক
তারেক রহমানের গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে যশোর স্পেশাল ট্রেন ভরে ঢাকায় গেছেন যশোরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার রাত ১২ টা ৮ মিনিটে ৬টি বগি নিয়ে যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশেষ এই ট্রেনটি ছেড়ে যায়। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে এই ট্রেনে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁচ্ছাবেন। এরপর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা যোগদিবেন সংবর্ধনা স্থলে। এই যাত্রাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, এর আগেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা ট্রেনে চড়ে যোগদান করেছেন। তবে এবারের যাত্রা ভিন্ন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রত্যাবর্তনে তাকে স্বাগত জানাতে উদ্গ্রীব দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয়টি আসনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের প্রত্যেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার করে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় জমায়েত করার প্রস্তুতি সেরেছেন। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হতে একদিন আগে থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের উদ্যোগে বাস, ট্রেন ও মাইক্রোবাসে করে কর্মী-সমর্থকরা ঢাকায় যেতে শুরু করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে যাওয়া নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই দলবদ্ধ ভাবে যাচ্ছেন। ঢাকায় তাদের হোটেল ও মেসে থাকাসহ অন্যান্য ব্যয়ভার দলের নেতারা বহন করছেন। এছাড়া ইউনিয়ন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে যার যার ইউনিয়ন থেকে বাস মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকা পৌঁছাচ্ছে। আবার বুধবার বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে যশোরের মণিহার, নিউ মার্কেট, উপশহর মাঠ, খাজুরা, বাঘারপাড়া, ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুল, বেনাপোল বল ফিল্ড মাঠ, শার্শা, বাগআঁচড়া, মণিরামপুর বাজার, কেশবপুর, চৌগাছা বাজার, অভয়নগর, নওয়াপাড়া থেকে বিভিন্ন বাস ঢাকার উদ্দেশ্য ছেঁড়ে যায়। জেলা বিএনপির দায়িত্বশীলনেতারা বলছেন, সংসদ সদস্য প্রার্থীরা ছাড়াও যশোরের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে অন্তত ৫০০ জন করে নেতাকর্মীকে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। জেলায় আটটি উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৯৩টি ও ৮টি পৌরসভা রয়েছে। সবমিলিয়ে ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকাতে গেছেন বলে ধারণা করেছেন।
বুধবার রাতে যশোর রেলস্টেশনে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের ভিড়। কারও হাতে তারেক রহমান, দলীয় চেয়ার পারর্সন খালেদা জিয়া, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা উপজেলার শীষ নেতাদের ফেস্টুন। কেউ বা দলীয় পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়েছেন। কেউ দিচ্ছেন স্লোগান, কেউ বা তারেক রহমানের নিয়ে গাইছেন বিভিন্ন গান। যশোর থেকে ছেড়া যাওয়া ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৪৭৬টি। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের জায়গা না হওয়াতে ট্রেনের বগির মেঝেতে বসে পড়েছেন। কেউ দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ পর পর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলছে পুরো ট্রেন স্টেশন।
আরও পড়ুন .. .. দেশবাসীর অফুরান ভালোবাসায় সিক্ত তারেক রহমান
ট্রেনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যান বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যশোর থেকে অর্ধলক্ষাদিকের বেশি মানুষ যেতে পারেন ঢাকায়। তিনি বলেন, এ ধরনের সাড়া অতীতে আমরা কখনও পাইনি। অন্যান্য সময়ে যে পরিমাণ লোক আমাদের কর্মসূচিতে আসত, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি লোকের সমাগম হতে পারে ২৫ ডিসেম্বর। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানকে দেশের মানুষ কাছে পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ খুশিতে আত্মহারা। তারেক রহমান দেশে না থাকলেও নেতাকর্মীদের কাছাকাছি ছিলেন। অনলাইনে তার বক্তব্য শুনেছেন। এখন সবাই স্বচক্ষে দেখবেন।

