#সরগরম প্রার্থী সমর্থকদের পদচারণায়
#সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান সব প্রার্থীর
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার আজ শেষ দিন। তাই শেষ সময়ে জেলা ও উপজেলা রির্টানিং কার্যালয়গুলো সরগরম প্রার্থী সমর্থকদের পদচারণায়। নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় রোববার পর্যন্ত ৬টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। জমা দিয়েছেন ৬ জন। জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান সব প্রার্থীর।

তফশিল অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা ও সংগ্রহের শেষ দিন আজ সোমবার। এর মাধ্যমে শেষ হবে বহুকাক্সিক্ষত নির্বাচনের প্রথম ধাপ। তাই শেষ মুহূর্তে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়গুলো সরগরম প্রার্থী সমর্থকদের পদচারণায়। কেউ আসছেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে, কেউবা স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কিংবা সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কার্যালয়ে আসলেও দায়িত্বরত অফিসারের কক্ষে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ পাঁচজন কর্মী সমর্থক। তবে সব দল যখন মনোনয়ন সংগ্রহে ব্যস্ত, ঠিক তখনি উল্টো জামায়াতে ইসলামী। একযোগে যেমন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন তারা; ঠিক তেমনি একযোগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে দলটি।
রোববার বিকেলে একযোগে নিজ নিজ আসনের সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে তারা তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার বিকালে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল। এদিন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, জামায়াতের নির্বাচন পরিচালক মশিউর রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলা আমীর রফিকুল ইসলাম, অভয়নগর উপজেলা আমীর সরদার শরীফ হোসাইন, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি এম এম আতিকুজ্জামান প্রমুখ।

নির্বাচনকে ঘিরে পেশিশক্তির আধিপত্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগ করেন আসনটির জামায়াতের প্রার্থী গোলাম রসুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলা হলোও এখন সেটি হয়ে উঠেনি। এখনও জামায়াতের কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। অনেক সন্ত্রাসী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষে ভোট চাইছে। ফলে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পরিবেশ দেখতে পারছি না। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বারবার সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সেটি করতে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
আমরাও আশাবাদী।’ এর আগে, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জামায়াত প্রার্থী ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদ। বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রনি খাতুনের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ওই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, মাওলানা গোলাম মোরশেদ, মাওলানা আব্দুল আলিম ও আব্দুল হামিদ। এছাড়া বাকী চার আসনেও জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আসনগুলোর মনোনিত প্রার্থীরা। সকল প্রার্থীরাই নিজেদের বিজয়ীর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে শেষ সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের মনোনীত প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ।
কেশবপুর সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। একই আসনটি থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক সদস্য সচিব জেসিনা মোর্শেদ।
যশোর সদর আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জাগপা নেতা নিজামউদ্দিন অমিত, যশোর-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মুফতি ফিরোজ শাহ, যশোর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
শেষ সময়ে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে রিটার্নিং কার্যালয়গুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কর্মী সমর্থকদের পদচারণায় উপচে পড়া ভিড় ও সরগরম লক্ষ্য করা গেছে। যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, ‘শেষ সময়ে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে ব্যস্ততা বেড়েছে। আজ মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের আয়োজন ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসন সকলকে নিয়ে কাজ করছে। যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, সীমান্তেও কড়া নিরাপত্তা রাখা হয়েছে।

