নিজস্ব প্রতিবেদক
বেনাপোলের সেলিম হোসেন নামে এক যুবককে প্রাইভেটকার কেনায় মধ্যস্থতা করার কথা বলে ডেকে এনে সাত লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোরের আদালতে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের কবির শেখ, শাহাজান আলী, আজিজুল ইসলাম, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নূর নবী, সাকিব হোসেন, সিয়াম হোসেন। ভুক্তভোগী সেলিম হোসেন বেনাপোলের উত্তর গাতিপাড়ার বাসিন্দা।
তিনি মামলায় জানিয়েছেন, আসামিরা তার পূর্ব পরিচিত। তারা তাকে ১টি প্রাইভেটকার ক্রয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি এতে রাজি হন। গত ২৮ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের কথা মতো ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে সেলিম হোসেন ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুন মোটরসাইকেলে করে যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুরে কাজল চেয়ারম্যানের ভাটার পাশে যান। সেখানে আসামিরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেলিম হোসেন ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুন সেখানে যাওয়া মাত্রই আসামিরা তাদের ওপর চড়াও হন। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সেলিম হোসেনকে চোখ বেঁধে একটি প্রাইভেটকার তুলে নেন। স্ত্রী আয়শা খাতুনকেও ওই গাড়িতে উঠিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া আসামিরা সেলিম হোসেনের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়। এরপরে গাড়ির ভেতরই আসামিরা আয়শা খাতুনের পরনে থাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার কেড়ে নেয়। পথে তুলারামপুরে পৌঁছালে আসামিরা গাড়ি থামিয়ে সেলিম হোসেনের স্ত্রী আয়শা খাতুনকে সেখানে নামিয়ে দেন। এরপর তারা সেলিম হোসেনকে নড়াইলের রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং তার কাছে থাকা ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এ সময় সেলিম হোসেনের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সেখানে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
শিরোনাম:
- যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- যশোরে বেড়েছে খুন-ধর্ষণ, আইনশৃংখলা উদ্বেগজনক
- যশোরে দ্বন্দ্ব সংবেদনশীলতা ও রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালা শুরু
- জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নড়াইলকে দুই গোল যশোরের
- এবার যশোরে ৭০৫টি শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
- সুন্দরবনের সাগরে নিখোঁজ মাহিদের মরদেহ উদ্ধার
- শ্যামনগর ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
- মানসিক সুস্থতা এবং আসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম