বিবি প্রতিবেদক
গতকাল যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, খুলনার রূপসা উপজেলার ইলাইপুর গ্রামের জুনায়েদ হোসেন আবির (১৮) ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের মঙ্গলপোইতা গ্রামের ওলিয়ার রহমান (৭০)। আহতরা হলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঘুমরাইল গ্রামের সাব্বির হোসেন (১৭), মনহোরপুরের আবির উদ্দিন তমাল (১৮) ও চাপরাইলের দিপ্ত (১৭)।
যশোরে দ্রুতগতির পিকআপ গাড়ির হেলপার জুনায়েদ হোসেন আবির নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল ভোরে যশোর-মণিরামপুর মহাসড়কের সতীঘাটা এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবির দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। তার খালা খুলনার রূপসা উপজেলার ইলাইপুর গ্রামের আরেফা খাতুন যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন।
আরেফা খাতুন জানিয়েছেন, তার বড় বোনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন আবির এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতো। একই গ্রামের আলী হোসেন (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৯-৮৯১৫) নম্বর পিকআপ গাড়ির চালক। গতকাল ভোরে আবিরকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে আলী হোসেন। ওই দিনই সকাল ৬টার দিকে দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালিয়ে যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটায় পৌঁছানো মাত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আবির গুরুতর আহত হলে চালক আলী হোসেন সেখান থেকে পালিয়ে চয়ে যান। কিন্তু দুর্ঘটনার বিষয়টি আবিরের পরিবারকে কিছুই জানায়নি। ওই দিন দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে আবিরের লাশ সনাক্ত এবং ময়না তদন্ত শেষে বুঝে নেয়। এরপরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার আসামি আলী হোসেনের নাম এজাহারে উল্লেখ করতে চাইলেও পুলিশ অনীহা প্রকাশ করে। ফলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়েই মামলাটি করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, একই দিন ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় আবিরের দেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাইওয়ে পুলিশের খর্নিয়া থানার এসআই পারভেজ আলম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর চালকের নামটি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব ছিলোনা। ফলে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হলেও পরবর্তীতে চালকের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তে চালক আলী হোসেনকে আসামি সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া অচিরেই তাকে আটক করা হবে।
অপরদিকে নিহত ওলিয়ার রহমানের জামাতা মিন্টু সরদার জানান, সন্ধ্যায় শ^শুর ওলিয়ার মঙ্গলপোইতা বাজার থেকে চা খেয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেলে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুত্বর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে হাসপাতালের দায়িত্বর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। একই ঘটনায় চালক সাব্বির হোসেনসহ আরহী আবির উদ্দিন তমাল ও দিপ্ত নামে তিন যুবক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাব্বির ও তমাল যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও দিপ্ত যশোরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমন্ত পোদ্দার জানিয়েছেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই ওলিয়ার নামে এক বৃদ্ধের মৃত্য হয়েছে ও বাকি দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস