কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে প্রতারণার রমরমা ব্যবসা। আর এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসসা নিতে এসে পথে বসার পাশাপাশি জীবনহানিও ঘটছে অসহায় না বোঝা মানুষদের। এসব ক্লিনিকগুলোতে নিয়মনীতির কোন বালাই নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়ে ও লাইসেন্স বিহীনভাবে কেউবা শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চালাচ্ছেন ব্যবসা। উপজেলায় মোট ৮ টি প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল আছে বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন। দালালদের মাধ্যমে চলা এসব ক্লিনিকে কোন অঘটন ঘটলেই ওই সিন্ডিকেটের মধ্যস্থতায় তা ধামাচাপা দেয়ায় আজ পর্যন্ত কোন ঘটনায় স্থানীয়ভাবে অভিযোগ বা মামলা পর্যন্ত গড়াতে পারেনি। দু’একটি ঘটনা লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হলেও সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চলে নানা রকম তালবাহানা। লাইসেন্সের পাশাপাশি এসবহাসপাতাল বা ক্লিনিকের অধিকাংশেরই নেই পরিবেশ ও অগ্নিনির্বাপক ছাড়পত্র।
উপজেলায় কেশবপুর মডার্ন হাসপাতাল, কপোতাক্ষ সার্জিকাল ক্লিনিক, ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল, কেশবপুর সার্জিকাল ক্লিনিক,মহাকবি মাইকেল ক্লিনিক, হোসেন ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজি, হেলথ কেয়ার হসপিটাল লিমিটেড, মার্তৃমঙ্গল ক্লিনিক নামে ৮ টি প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে। এ সকল ক্লিনিকগুলো চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোগিদের আকৃষ্ট করার পাশাপামি সর্বরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ক্লিনিকগুলোতে একজন রোগি আসলেই তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ৫/৬ টি পরীক্ষার ফর্দ। কিন্তু ২/৩ টি ক্লিনিক বাদে কোন ক্লিনিকেই সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমাধারী টেকনিশিয়ান না থাকায় প্রায়ই ভুল রিপোর্টের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় অসহায় রোগিদের।
ক্লিনিকের মালিকদের নিয়োকগৃত দালালরা গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন ভুয়া ডাক্তারদের কমিশনে ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমে ক্লিনিকগুলোতে রোগি ভর্তি করায়। রোগি ক্লিনিকে আনার বাবদে এ সকল ডাক্তাররা বাড়ি বসেই তাদের নির্ধারিত একটি অংশ পেয়ে থাকেন।
কেশবপুরের নাগরিক সমাজের আহবায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, কেশবপুরের অনেক ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে এবং সিভিল সার্জন অফিসের একটি টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করলে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমানে ক্লিনিকগুলোতে তেমন সমস্যা নেই। ইতিপূর্বে অনেক সমস্যা ছিলো আমি নিয়মিত তদারকি করছি এখন অনেকটা স্বচ্ছভাবে ক্লিনিকগুলো সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। তারপরও কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোরের সিািভল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।
শিরোনাম:
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস
- শীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়