বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে চলমান টিসিবি, ভিজিএফ, ওএমএস কার্যক্রমে বিএনপির নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপ ও সম্পৃক্ত না থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। একই সাথে লেক, বাঁওড়, জলাশয়, পুকুর, ঘের দখল বা নিয়ন্ত্রণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাঁওড়, ঘের দখল ও টিসিবি, ভিজিএফ, ওএমএস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে অসংখ্যা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যার পেক্ষিতে জেলা বিএনপি এই সিন্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার ওপর নেতাকর্মীদের জোর দিতে হবে। ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে দলের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
খোলা মাঠে, জনবহুল এলাকায়, বাজার সংলগ্ন মাঠ বা মসজিদের কাছে ইফতার মাহফিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের পরিকল্পনা করতে হবে। এছাড়া, ব্যয়বহুল ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন পরিহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইফতারের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার এবং খোলা মাঠে পাটি বা ত্রিপল বিছিয়ে ইফতারের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির কোনো গ্রুপের নেতাকর্মী কোনো ধরনের সালিশ বা বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

ব্যক্তিগত পাওনা টাকা আদায় বা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সালিশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লেক, বাঁওড়, জলাশয়, পুকুর, ঘের দখল বা নিয়ন্ত্রণ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। দলের কোনো নেতাকর্মী টিসিবি, ভিজিএফ, ওএমএস কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার, শোকজ ও পদ স্থগিত করেছি। দল এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।’

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘বিএনপি একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল দল। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটা দলের শীর্ষপদধারী হোক বা কর্মী হোক। আমরা বিশ্বাস করি বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ক্ষোভের প্রেক্ষিতে কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা করলেও দল তাকে ব্যবস্থা নিয়েছে।’

Share.
Leave A Reply

Home
News
Notification
Search
Exit mobile version