চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার বিদ্যুৎ অফিসের পাশের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। স্ত্রীর লাশ বাড়িতে রেখে সকালে স্বামী নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে তার স্ত্রীর আত্মহত্যার কথা জানান। তবে গৃহবধূর পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ওই স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহত গৃহবধূর নাম খাদিজা খাতুন (২৫)। আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মোনাকষা গ্রামের পাখিভ্যান চালক আলম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিহত খাদিজার পিতা ভিকু মন্ডল জানান, তার মেয়ে খাদিজা এক বছর আগে মোনাকষা গ্রামের আলম হোসেনের (২৮) সঙ্গে সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জানতে পারেন আলম হোসেনের আরো একজন স্ত্রী রয়েছেন। কয়েক মাস আগে তারা আলমডাঙ্গায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করছিলেন।
এ ছাড়া কারণে-অকারণে আলম স্ত্রী খাদিজাকে প্রায়ই মারধর করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
খাদিজার পিতা বলেন, ‘সকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি খাদিজা মারা গেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে আলম হত্যা করেছে।’
ভাড়া বাসার মালিকের স্ত্রী নার্গিস আক্তার খুশি বলেন, ‘গত অক্টোবর মাসে তারা বাসা ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন ভোররাত ৬টার দিকে আলম হোসেন আমাদের বাসায় নক করে খাদিজা মারা গেছে বলে জানায়।
এবং বলে সে পুলিশে সংবাদ দিতে যাচ্ছে। পরে আমরা নিচে এসে দেখতে পাই মেঝেতে খাদিজার লাশ পড়ে আছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া বলেন, ‘আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার বিদ্যুৎ অফিসের পাশে খাদিজা নামের এক গৃহবধূ লাশের সুরতাহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। খাদিজা খাতুনের স্বামী আলম হোসেন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
শিরোনাম:
- উদীচী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতের বৃক্ষচারা রোপণ
- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৬ গুণীজনকে সম্মাননা দিল ব্যঞ্জন থিয়েটার
- যশোরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা মানোন্নয়ন সনাকের অধিপরামর্শ সভা
- কালিগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ডা. শহিদুল আলমের মতবিনিময়
- যশোরে ফরিদা পারভীন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত
- বাগআঁচড়া বিএনপির কর্মি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- কোটচাঁদপুরে ঈগল পাখি উদ্ধার
- চিত্রা মডেল কলেজে সুধী সমাবেশ : শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ
