আব্দুল্লাহ বাশার, কোটচাঁদপুর  
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেকে) ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সামাউল ইসলাম ও তার পরিবারের। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তার মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাউলের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বামনদহ গ্রামে। তাঁর বাবা তাজির উদ্দিন একজন সবজি বিক্রেতা। অভাবের সংসারে তাজির উদ্দিন সামাউলকে এ পর্যন্ত পড়াতে পেরেছেন। এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানোর মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্যও নেই তার। তাই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারটির।
গত রোববার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি জানতে পারে সামাউলের পরিবার। সে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সামাউলের বিদ্যালয়েও। বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর মিষ্টি আর ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করেন শিক্ষকেরা। তবে সে আনন্দে বেশি সময় ভাসতে পারেননি সামাউল। ভর্তির কথা মনে পড়তেই মলিন হয়ে যায় তার মুখ।
তাজির উদ্দিন বলেন, দুই ছেলে মেয়ে আর স্বামী-স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। যা চলত আমার সবজি বিক্রির টাকা দিয়ে। এর ফলও পেয়েছি। সামাউল এসএসতি ভালো ফল অর্জন করে। তবে সে সময়ও ভর্তি করা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তখনো মানুষের সহায়তায় ভর্তি করা হয়। মেডিকেলে ভর্তি করে পড়ানোর সামর্থ্য আমার নাই। কথাগুলো বলছিলেন আর অঝোরে কাঁদছিলেন তাজির উদ্দিন। তিনি তার ছেলের ভর্তির জন্য স্বচ্ছলদের সহায়তা চান।
সামাউল পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন। এসএসসি এবং এইসএসসিতে পান জিপিএ-৫।
কোটচাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সোহেল আল মামুন বলেন, সামাউলকে প্রায় সময়েই সহযোগিতা করে থাকি। মেডিকেলের পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর সে আমার কাছে মোবাইল করেছিল। আমি তাকে আমার সাধ্যমতো সহায়তার কথা জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ার সামগ্রিক কাগজপত্রসহ আবেদন করতে বলেন সামাউলকে। সবকিছু দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version