Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • যশোর বোর্ডে এইচএসসি খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ২১৬ জনের ফল পরিবর্তন
  • যশোরে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল ও স্থায়ী নিয়োগ দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি
  • আজ অগ্রহায়ণের প্রথম দিন
  • পাঁচ হাজার মোটরসাইকেলে আজিজুরের শোডাউন
  • যশোরে চাকুসহ আটক ২
  • তরিকুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আজকের বিজয়ী, চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়ন
  • যশোরে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা
  • পার্কে যুগলের বিষপান; প্রেমিকা বেঁচে ফিরলেও ফেরেনি প্রেমিক
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
রবিবার, নভেম্বর ১৬
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

সাতক্ষীরার সখিপুরের তৈরি বালা যাচ্ছে সারাদেশে

banglarbhoreBy banglarbhoreফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪No Comments
Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
Share
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

বালা গ্রাম নামে পরিচিত সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রাম। সকাল হলেই যেন ঠিক ঠিক… খট খট… শব্দে মেতে ওঠে পুরো গ্রাম। যে যার মতো কাজে ব্যস্ত। নিজ বাড়ির উঠানে কিংবা বাড়ি সংলগ্ন ছোট কারখানায় চলে কর্মযজ্ঞ। কেউ পিতলের পাত গরম করছেন, কেউ সেটি মাপ অনুযায়ী কেটে জোড়া দিয়ে লম্বা পাইপে পরিণত করছেন, কেউ তৈরিকৃত পাইপে গালা ভরছেন, কেউ গালা ভরা পাইপ পিটিয়ে গোলাকার বালায় (রুলি) রূপ দিচ্ছেন। কেউ গোলাকার বালা থেকে গালা বের করে বালার দুই মুখ জোড়া দিচ্ছেন। কেউ সেই বালায় আবার গালা ভরছেন, কেউ সেই বালায় সেনি দিয়ে টুক টুক করে পিটিয়ে খোদাই করে নকশা করছেন। এভাবেই কয়েক হাত ঘুরে প্রস্তুত হয় বালা। ঘরে ঘরে বালা তৈরির এই কর্মযজ্ঞ চলায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামটিই এখন বালা গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

এ গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারে উৎপাদিত বালা প্রাথমিকভাবে যায় ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বড় বড় জেলা শহরে। সেখানে হাতে তৈরি খোদাইকৃত এসব বালায় রঙ পালিশ করা হয়। তারপর তা চলে যায় সারা দেশে।
বালা তৈরির এই কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ায় গ্রামটি থেকে দূর হয়েছে বেকারত্ব। সেই সাথে নিজ বাড়িতে কাজ করতে পারার সুবাদে অনেক পরিবারের গৃহিনীরাও যুক্ত হয়েছেন এই কাজে। এতে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিছে তাদের।

উত্তর সখিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি প্রতিদিন ৮-১০ জোড়া বালায় নকশা করতে পারি। প্রতি জোড়ার জন্য ৬০ টাকা করে মজুরী পাওয়া যায়। বাড়ি বসেই কাজটি করতে পারায় ঘের-বেড়ির পাশাপাশি বালা তৈরির কাজ শিখেছি।
এ গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ডিজাইন ভেদে মজুরীরও ভিন্নতা আছে। সাধারণ ডিজাইনের জন্য ৬০টাকা জোড়া মজুরী পাওয়া যায়। ইরানি গোলাপসহ কিছু আলাদা ডিজাইন আছে সেগুলোর জন্য ১৮০ টাকা মজুরী পাওয়া। এছাড়া গালা ভরা, পাইপ বানানো ইত্যাদির জন্য প্রতি জোড়ায় ১৩ টাকা করে মজুরী পাওয়া যায়। গড়ে প্রত্যেক কারিগর দিনে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন।

বালা তৈরির কারিগর হাসান আলী বলেন, বছর ১৫ আগে মিজানুর রহমান নামে একজন প্রথমে এই গ্রামে সাতক্ষীরা থেকে এক কারিগর নিয়ে এসে বালা তৈরির কাজ শুরু করেন। তার থেকেই আমরা এই কাজ শিখেছি। আস্তে আস্তে তা পুরো গ্রাম ছড়িযে পড়েছে।

গত ১০ বছর যাবত তিনি এই কাজে যুক্ত উল্লেখ করে বলেন, আমার কাছ থেকেই ১৫-১৭ জন বালা তৈরির কাজ শিখেছে। এ গ্রামের যুবকেরা অন্য কাজের চেয়ে এই কাজে এখন বেশি মনোযোগী। কারণ কাজটি স্বাধীন। সবাই ইচ্ছে খুশি মতো কাজ করতে পারে। ইচ্ছে খুশি মতো নিজের আয় বাড়াতে পারে। ঝুঁকি কম। মহাজন বালা দেয়, আমরা ডিজাইন করি। নিজের বাড়িতে বসে কাজ করি। বাড়ির মহিলারাও কাজ করতে পারে। সেই সাথে নিজের পুকুর-ঘের দেখাশোনা করি।

বালা তৈরির কারিগর ইয়াকুব হোসেন বলেন, স্বর্ণের দাম অনেকের নাগালের বাইরে। তাই বালা তৈরির কাজে কখনো ভাটা পড়ে না। সবসময়ই আমরা কাজ করতে পারি। এমনকি শুক্র শনি বলে কোনো কথা নেই, প্রতিদিনই কাজ করেন সকলে।
এ গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আগে নিজে ডিজাইনের কাজ করলেও এখন নিজের কাজের পাশাপাশি নিজেই কাঁচামাল কিনে অন্যদের কাজ দেন।

তিনি বলেন, একেকটি বালা প্রস্তুতের জন্য কয়েক ধাপের কাজ করতে হয়। প্রস্তুতকৃত বালার জোড়া আকৃতি ভেদে ১২৫ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পরে এসব বালা রঙ পালিশ করে আরও বেশি দামে বিক্রি করেন পাইকাররা। তখন খুচরা বাজারে এসব বালার দাম ২০৫ টাকা জোড়া থেকে হাজারো বারোশ টাকায় গিয়ে দাড়ায়।
আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আগে আমরা রঙ পালিশ করেই বিক্রি করতাম। তখন লাভ আরও বেশি ছিল। কিন্তু সাতক্ষীরা সীমান্ত জেলা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে বিজিবি এগুলো ভারতীয় বলে হয়রানি করতো। আটকে দিতো। তাই এখন রঙ পালিশ ছাড়াই বিক্রি করা হয়। এছাড়া বর্তমানে কাঁচামালের দাম একটু বাড়তি। কিন্তু প্রস্তুতকৃত বালার দাম বাড়েনি। এজন্য লাভ একটু কম হচ্ছে।

তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পেশাটি বেকারত্ব দূর করার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এজন্য বিদ্যমান সংকটগুলো কাটিয়ে সর্বত্র এই কাজ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন বলেন, তারা আগ্রহী হলে তাদের আধুনিক পণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে বিসিক। পাশাপাশি পণ্য মার্কেটিং করার সময় যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন সেজন্য তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
banglarbhore
  • Website

Related Posts

যশোর বোর্ডে এইচএসসি খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ২১৬ জনের ফল পরিবর্তন

নভেম্বর ১৬, ২০২৫

যশোরে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল ও স্থায়ী নিয়োগ দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি

নভেম্বর ১৬, ২০২৫

আজ অগ্রহায়ণের প্রথম দিন

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.