বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাড়িতেই প্রসববেদনা উঠেছিল প্রসূতি আকলিমা খাতুনের (২৩)। এ কারণে তাকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাড়ি থেকে প্রায় কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছানোমাত্রই সন্তান ভূমিষ্ট হয় আকলিমার। বুধবার সকালে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ইজিবাইকের মধ্যে ওই প্রসূতি সন্তান প্রসব করেন।
ওই প্রসূতির বাড়ি অভয়নগর উপজেলার বগুড়াতলা গ্রামে। তার স্বামীর নাম রুবেল সরদার। প্রসূতি এবং সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ আছে।
রুবেল সরদার দিনমজুর। এই দম্পতির সাত বছরের একটি মেয়ে এবং পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
রুবেল সরদার জানান, সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠেছে। তিনি কাজ ফেলে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে তিনি একটি ইজিবাইক ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হন। ইজিবাইকে তার শাশুড়ি এবং অপর একজন নারী ছিলেন।
প্রায় ১৪ কিলোমিটার ঘুরে ভৈরব সেতু পার হয়ে বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে এসে থামে। ইজিবাইক থেকে আকলিমাকে নামানোর জন্য প্রস্তুতির সময় প্রসববেদনা তীব্রতর হলে পর্দা দিয়ে ইজিবাইকের দুই পাশ ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে থাকা দুই নারী মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে তার নিরাপদ প্রসব করান। তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন মিডওয়াইফ আকলিমা খাতুন এবং তার সদ্যোজাত সন্তানকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নূপুর মজুমদার বলেছেন, ইজিবাইকের মধ্যে আকলিমা খাতুন পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন। মা ও ছেলে সুস্থ আছেন। তারা প্রসূতি বিভাগে আছেন।
নিয়মানুযায়ী তাদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কোনও সমস্যা না হলে আগামীকাল সকালে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে।